ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

উত্তরাখণ্ডে বাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম

কলকাতায় এক চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে যখন বিক্ষোভে উত্তাল গোটা ভারত, তখন দেশটিতে আবারও সামনে এলো বাসের মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের বীভৎস ঘটনা। সম্প্রতি উত্তরাখ-ের রাজধানী দেরাদুনে একটি পাবলিক বাসের মধ্যে এক নাবালিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে ওই নাবালিকা মোরাদাবাদ থেকে দেরাদুনের আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনালে পৌঁছায়। সেখানেই দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। সে পাঞ্জাবের বাসিন্দা। এ ঘটনার চারদিন পর গত শনিবার একটি মামলা নথিবদ্ধ করেছে পুলিশ। তদন্তও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে, গত সপ্তাহে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজে দায়িত্বরত অবস্থায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন মৌমিতা দেবনাথ নামে এক চিকিৎসক। জানা যায়, গত ৮ আগস্ট রাতে টানা ৩৬ ঘণ্টার ‘অন-কল’ ডিউটিতে ছিলেন ওই তরুণী। রাতে খাবার খেয়ে চারতলার পালমোনোলজি বিভাগের সেমিনার হলে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিতে যান তিনি। পরদিন সকালে জুনিয়র সহকর্মীরা ওই হলের ভেতরেই তার অর্ধনগ্ন লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারত। মৌমিতার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার এবং সব শ্রেণির নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই নাবালিকা পঞ্জাবের বাসিন্দা। মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে উত্তরাখ-ের রাজধানী দেরাদুনে এসেছিলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, দেরাদুনের আন্তঃরাজ্য বাসস্ট্যান্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে একটি বাসের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ওই নাবালিকার উপর নির্যাতন চালায় কয়েক জন। নাবালিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণ এবং মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কলকাতায় এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে যেখানে ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে তারমধ্যেই পরপর দুটো ধর্ষণের ঘটনা ঘটল উত্তরাখ-ে। এনডিটিভি, এবিপি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত