ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহর ড্রোনে আতংক

ইসরাইল ছেড়েছে ১০ লাখ ইহুদি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম

ইসরাইলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে চালানো আল-আকসা অভিযানের পর ইসরাইল ও অধিকৃত ভূখণ্ড থেকে ১০ লাখ ইহুদি পালিয়ে গেছে। সম্প্রতি ইসরাইলি চ্যানেল টুয়েলভের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশ থেকে এসব ইহুদি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের অধিকৃত ভূখণ্ডে এসেছিল, তারা আবার সেইসব দেশে ফিরে গেছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার নাগরিকরা ইসরাইল ছেড়েছে। এদিকে সেন্টার ফর জিউশ ইম্প্যাক্ট নামের একটি সংস্থা এক জরিপ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শতকরা ২৯ ভাগ ইহুদি ইসরাইল ছাড়ার চিন্তা করছে এবং ৭১ ভাগ ইহুদি আগামী দিনগুলোতে ইসরাইলে সুন্দর জীবনযাপনের ব্যাপারে আশাবাদী নয়। সেন্টার ফর জিউস ইম্প্যাক্টের জরিপ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, শতকরা ৫০ ভাগ ইহুদি অপারেশন আল-আকসা স্টর্মে আহত হয়েছেন অথবা আহত এমন কাউকে চেনেন-জানেন। এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, শতকরা ৮৪ ভাগ ইহুদি ইসরাইল সরকারের কূটনীতিতে সন্তুষ্ট নয়। এছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৯ ভাগ ইহুদি বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের বিরোধিতাকে সামরিক হুমকির মতো বিপজ্জনক বলে মনে করে। এদিকে, দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনে হিজবুল্লাহর একটি পুনরুদ্ধারকারী ড্রোন প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি মিডিয়া। রোববার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একটি পুনরুদ্ধারকারী ড্রোন সম্ভবত সিজারিয়া এলাকায় ইসরাইলি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে প্রবেশ করেছে। ড্রোনটি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসস্থানের ফুটেজ নিতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মধ্যে আতংক ও ভীতির জন্ম দিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে ইসরাইলি যোদ্ধাদের পাঠানো হয়েছে। তবে তারা ড্রোনটির সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইরনা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত