ভাঙনের মুখে ইসরাইলের অর্থনীতি
২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম
১১ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে ভাঙনের মুখে ইসরাইলের অর্থনীতি। এমনটাই বলছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। বেড়েছে ঋণ, বিপরীতে তেমন বাড়েনি আয়। বন্ধ হয়ে গেছে বহুক্ষুদ্র ব্যবসা। হারাতে হয়েছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, শিগগিরই যুদ্ধ না থামালে সামনে ভয়ংকর পরিস্থিতি দাঁড়াবে। প্রতি বছর এই সময়টায় জেরুজালেমে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। একইসাথে ধর্মীয় গুরুত্ব, সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আর দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যের কারণে প্রায় সারা বছরই থাকে নানান দেশের পর্যটকদের আনাগোনা। তবে, এখন প্রায় জনমানবহীন শহরটি। শহরের বেশীর ভাগ দোকানের দরজাতেই ঝুলছে তালা। প্রায় ১১ মাস ধরে চলা সংঘাতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারা জানান, জেরুজালেমে সবসময় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকতো। এখন কোনো পর্যটক নেই। পর্যটনকে কেন্দ্র করেই তো আয় আমাদের। আর কতদিন এসব চলবে জানা নেই। সেখানের আইকনিক আমেরিকান কলোনি হোটেল থেকেও কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে। যারা চাকরি হারান নি, তাদের বেতন কর্তন করা হয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাঝখানে কয়েক মাসের জন্য তারা হোটেল বন্ধ রাখতে চেয়েছিলো। তারপর সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। কিন্তু খরচ সামলাতে বাধ্য হয়ে কিছু কর্মী ছাঁটাই করতে হয় তাদের। একই চিত্র দেখা গেছে ইসরাইলের ব্যস্ততম বন্দর হাইফায়। আগে যেখানে দম ফেলার ফুরসত পেতো না কর্মীরা, সেখানে এখন একেবারেই শান্ত চারপাশ। কাটছে অলস সময়। বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান হামাস-ইসরাইল সংঘাতে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে আস্থা হারিয়েছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা। চলতি বছর ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী কমেছে দেশটির জিডিপি। অপর এক খবরে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় কনভেনশনের শেষ দিনে শিকাগোতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী। ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে বলা হয়, গাজায় ক্রমাগতভাবে গত দশ মাসের বেশি সময় ধরে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ইসরাইলকে গোলা-বারুদ দিয়ে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শিকাগোর রাস্তায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী। তারা ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। জাতীয় কনভেনশনের শেষ দিনে হাজার হাজার ডেমোক্র্যাট সমর্থকের উপস্থিতিতে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন কমালা হ্যারিস। গত সোমবার শুরু হয় এই জাতীয় কনভেনশন। প্রথম দিন থেকেই কনভেনশন হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার জনগণ। হাতেম আবুদায়েহ জোটের একজন মুখপাত্র এবং মার্কিন ফিলিস্তিনি গণমিছিলের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমাদের প্রতিবাদের কেন্দ্রীয় ইস্যু হচ্ছে ফিলিস্তিনের মুক্তি। যা এখন গোটা বিশ্ববাসীর প্রধান ইস্যুও বটে। এক্ষেত্রে আমরা চাই মার্কিন সরকার ইসরাইলের প্রতি তাদের সহায়তা বন্ধ করবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সমর্থন বন্ধ করার দাবিতে এ সপ্তাহে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক শিকাগোর রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে। আবুদায়েহ আশাবাদী যে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউস তাদের পলিসি পরিবর্তন করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কমালা হ্যারিস ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন সহ কনভেনশনে থাকা শীর্ষস্থানীয় সকল ডেমোক্র্যাটদের কাছে ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সহায়তা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তারা মনে করেন এখন ইসরাইলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করার সময় এসেছে। গাজায় এমন কোনো স্থান নেই যেখানে হামলা বাদ রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। উপত্যকাটিতে ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান নেই। শিকাগোর একজন নারী চিকিৎসক ড. তাম্মি আবুঘানিয়াম বলেছেন, তিনি গত ছয় মাসে দুইবার গাজা ভ্রমণ করেছেন। সেখানে প্রায় ছয় মাস অবস্থান করে গত তিন দিন আগে শিকাগোতে ফিরে এসেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘গাজায় থাকা অবস্থায় আমি প্রতিদিন প্রতিটা মুহূর্তে খেয়াল করেছি সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরাইল। সেখানে বেসামরিকদের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান নেই। ইসরাইল গাজার কোনো স্থানে হামলা বাদ দেয়নি।’ এতে বুঝা যাচ্ছে গত দশ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন সেখানের হাজার হাজার বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষ। তাম্মি আবুঘানিয়াম আরও বলেছেন, ‘আমি একজন মার্কিন নাগরিক। আমার মনে করি মার্কিন সরকারের উচিত ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করা। কেননা তেল আবিব এ অস্ত্র ব্যবহার করে গাজার হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে। এসব জানা সত্ত্বেও মার্কিন সরকার ইসরাইলকে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রেখেছে, যা আমাকে হতাশ করেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক এই হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দেয়ার পরেও তারা এ কাজটি করে যাচ্ছে।’ রয়টার্স, আনাদোলু।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সিকৃবিতে প্রকল্প এবং ফেলোসিপ পুরস্কার অনুষ্ঠান কাল
পর্তুগালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭
খুলনার কাউন্সিলর টিপু হত্যার তিন আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার
ইউক্রেন যুদ্ধে হারের কথা স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
তাদের চোখের সামনে লাশগুলো থাকার কথা ছিল কিন্তু আছে শুধু ক্ষমতা
শত্রুদের অজানা অস্ত্র আছে ইরানের কাছে
ডিসেম্বরের সেরা বুমরাহই
রাজশাহীতে বিএমডিএ সদও দপ্তরে দুদকের অভিযান নথিপত্র তলব
২০২৪ সালে পবিত্র হজ ও ওমরাহ করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ
ভেজাল টমেটো বীজে সিলেটে সর্বনাশ কৃষকদের
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলেন -ড.এম আসাদুজ্জামান
রাগে র্যাকেট-ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ
পটুয়াখালীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
ভোটার হালনাগাদ নিয়ে ইসির বিশেষ নির্দেশনা
তবে কি ফিলিস্তিনে গণহত্যা-ধ্বংসযজ্ঞের ফল পাচ্ছে আমেরিকা?
মেসার্স ইশা ফিলিং স্টেশনকে মাপে কম দেওয়ায় জরিমানা
সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই, পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে আগে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
বাংলাদেশের নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কথা বলতে চায় না জাতিসংঘ
বেগমগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত