শীর্ষ ঠিকাদাররা আয় করেছে ৫০ হাজার কোটি ডলার
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
২০২৩ সালের বিশ্বের শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় পৌঁছে গেছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলারে, যা আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি এ খাতের শীর্ষ ২৫০ প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ-রেকর্ড (ইএনআর)। সেখান থেকে আয়ের পরিসংখ্যান সংকলন করেছে আনাদোলু।
২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ চেইনে জটিলতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও আঞ্চলিক সংঘাত সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে। তা সত্ত্বেও ঠিকাদারি সংস্থাগুলো আয় করেছে ৪৯ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
২০১৫ সালে শীর্ষ ২৫০ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আয় ছিল ৫০ হাজার ১১০ কোটি ডলার। পরের বছর তা কমে ৪৬ হাজার ৮১০ কোটি ডলারে নেমে আসে। তবে ২০১৭ সালে খাতটিতে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার হয়, ওই বছর আয় করে ৪৮ হাজার ২৪০ কোটি ডলার। পরবর্তী দুই বছরের আয়ের অংক ছিল যথাক্রমে ৪৮ হাজার ৭৩০ কোটি ও ৪৭ হাজার ৩১০ কোটি ডলার। কভিড-১৯ মহামারীর দুই বছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আয় গড়ে ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার করে কমে। ২০২০ ও ২০২১ সালে ইএনআরের তালিকায় থাকা শীর্ষ সংস্থাগুলো আয় করে যথাক্রমে ৪২ হাজার ৪০ কোটি ও ৩৯ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। পরের দুই বছরে মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় ভালোই গতি পায় ঠিকাদারি খাত। ২০২২ সালে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় পৌঁছে ৪২ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার। গত বছর আয় করে ৪৯ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার।
পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আয়ে শীর্ষে ছিল ইউরোপীয় সংস্থাগুলো। এখানকার ঠিকাদাররা আয় করে ১৩ হাজার ৮০ কোটি ডলার। অন্যদিকে এশিয়া ও মার্কিন সংস্থাগুলোর আয় ছিল যথাক্রমে ৮ হাজার ৯৬০ কোটি ও ৭ হাজার ১৫০ কোটি ডলার। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক আয় আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ সালে ৬ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। এছাড়া আফ্রিকার ঠিকাদারি সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আয় ছিল ৫ হাজার ২৪০ কোটি ডলার।
২০২৩ সালে বিমানবন্দর, সেতু, রেলওয়ে ও টানেলের মতো পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট থেকে ঠিকাদারদের আয় হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার। বাণিজ্যিক ভবন, হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট, হাসপাতালসহ অন্যান্য সাধারণ নির্মাণ থেকে আয় হয়েছে ৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। পরিশোধানাগার, কারখানা ও পাইপলাইনসহ জ্বালানি তেল খাতের স্থাপনা থেকে আয় হয়েছে ৮ হাজার ১১০ কোটি ডলার। একই সময়ে তাপীয় ও জলবিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাত থেকে এসেছে ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এছাড়া অটোমোটিভ, টেক্সটাইল ও অন্য খাতের কারখানা নির্মাণ থেকে ঠিকাদারি সংস্থাগুলো ২০২৩ সালের আয় করেছে ৩ হাজার ২৭০ কোটি ডলার। সূত্র : আনাদোলু।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মারা গেলেন 'মুজিব' বায়োপিকের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল
মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর আয়োজিত যৌন শিশু পাচার প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
যশোরে আদালত চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ
ফাইনালে মুখোমুখি মেট্রো-রংপুর
চুয়াডাঙ্গার গোয়ালপাড়া থেকে ১ কেজি ১৯৪ দশমিক ৩২ গ্রাম ওজনের ৪টি অবৈধ স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাই
কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম’র সভাপতি কাজী সাঈদ, সম্পাদক মিজান
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি
এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু