ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ইইউ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্যে
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাণিজ্য সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদে ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে পারস্পরিক আমদানি-রফতানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, ব্রেক্সিটের প্রভাবে উভয় পক্ষের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে, যা সামনের দিনগুলোয়ও অব্যাহত থাকবে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক আরো খারাপ দিকে যেতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলে হয়। ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে গণভোটের আয়োজন করা হয়। ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ত্যাগ করে দেশটি, যা ‘ব্রেক্সিট’ নামে পরিচিত। পরিবর্তিত সম্পর্কের চাপে বেক্সিট-পরবর্তী সময়ে সংকটে পড়ে যুক্তরাজ্য ও ইইউর অর্থনীতি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্রেক্সিটের প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখতে ট্রেড অ্যান্ড কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট (টিসিএ) স্বাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু সম্পর্ক উন্নতির পরিবর্তে এটি অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে চলেছে।’ চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ের তুলনায় ২০২১-২৩ সালে উভয় পক্ষের বাণিজ্য পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বার্মিংহামের এক অর্থনীতিবিদ প্রতিবেদনে বলেন, ‘২০২৩ সালে উভয় পক্ষের বাণিজ্যে আগের বছরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি কমে গেছে। এতে বোঝা যায়, ব্রেক্সিটের পর অর্থনীতিতে এর প্রভাব স্বল্পমেয়াদি নয়, বরং সামনের দিনগুলোয়ও তা বজায় থাকবে।’ ব্রেক্সিটের পর থেকে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ে যুক্তরাজ্য। পরে কভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকট আরো তীব্র হয়েছে। অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাসভিত্তিক তথ্যানুযায়ী ইইউতে যুক্তরাজ্যের রফতানি ২৭ শতাংশ ও আমদানি ৩২ শতাংশ কমে গেছে। এ হার ব্রেক্সিট না ঘটলে কেমন হতো, তার সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। এতে রফতানি ১৭ শতাংশ ও আমদানি ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, টিসিএ-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্য-ইইউ সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে ভোক্তা, মধ্যবর্তী এবং মূলধনি পণ্য আমদানি-রফতানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে কয়েকটি খাতে রফতানি বেড়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তামাক, রেলপথ ও বিমান। এর বিপরীতে খাদ্য, বস্ত্র ও উৎপাদনমুখী শিল্প খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউরো নিউজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি
ঝিনাইদহে বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর
আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি
হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!
প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি
শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু
হাসিনাকে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী
গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক
বঙ্গতে আসছে 'ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ'
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের, ভর্ৎসনা পানামার প্রেসিডেন্টের
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ
পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়