আসলে ছিল সাজানো
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
‘ওয়াইল্ড মাদার’ ছদ্মনামে অনলাইনে শিশুদের সুস্বাস্থ্য ও লালন-পালনের ওপর ভিডিও তৈরি করেন মার্কিন নাগরিক ডেসরি। কলোরাডোর পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করা এই নারী চান আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতুক। তবে ডেসরির বাড়ি থেকে ৭০ মাইল উত্তরে ডেনভার সিটিতে বসবাসকারী আরেক নারী ক্যামিলি অবশ্য ট্রাম্পকে মোটেই পছন্দ করেন না। গত দেড় দশক ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ভোট দিয়ে আসা ক্যামিলি চান, সামনের নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হেরে যাক। সুতরাং রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে মার্কিন এই দুই নাগরিকের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, সেটি বোঝাই যাচ্ছে। কিন্ত মজার ব্যাপার হলো, তারা দু’জনই মনে করেন যে, সম্প্রতি ট্রাম্পকে হত্যার যে চেষ্টা হয়েছে, সেটি আসলে সাজানো ছিল! নির্বাচনে জয়লাভ করার কৌশল হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির এই প্রার্থী নিজেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলেও ধারণা তাদের। কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শের দু’জনের মধ্যেই একইরকম ধারণা কীভাবে তৈরি হলো? উত্তরটা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তারা দু’জনই বলেছেন যে, ট্রাম্পের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সব তথ্য পেয়েছেন, যেগুলো দেখে মনে হয়েছে হামলার ঘটনা দু’টি আসলে সাজানো ছিল। নির্বাচনের আগে অবশ্য প্রার্থীদের বিষয়ে এমন ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বে’র বিষয়টি মোটেও নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের আগে নানান ধরনের গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আগেও ছড়াতে দেখা গেছে। ডেসরি ও ক্যামিলির কথার সূত্র ধরে বিবিসি এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে ছড়ানো ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বিশেষত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়ানো তথ্যগুলো খতিয়ে দেখেছে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এমন অসংখ্য পোস্ট বিবিসি খুঁজে পেয়েছে, যেখানে কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বলা হচ্ছে যে, ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা দু’টি পুরোপুরি সাজানো ছিল। ওইসব পোস্টের লাখ লাখ ভিউ দেখা যাচ্ছে, অনেকে শেয়ারও দিচ্ছেন। পোস্টের অনেক গুলোই ছড়ানো হয়েছে ট্রাম্প বিরোধীদের অ্যাকাউন্ট থেকে। এর মধ্যে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে যেগুলো দেখে মনে হয়েছে যে, তারা আগে খুব একটা ভুয়া খবর ছড়াননি। তবে নিয়মিতভাবে ভুয়া খবর ছড়ান, এমন অ্যাকাউন্টও দেখা গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এসব গুজব ছড়ানো রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মালিকানায় থাকা কোম্পানিগুলো কী করছে? তারা সব সময়ই দাবি করে আসছে যে, ভুয়া ও ক্ষতিকর কনটেন্ট কমানোর পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে সুরক্ষায় তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা ও গাইডলাইন রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেগুলো কতটা কাজে আসছে? বিষয়টি নিয়ে বিবিসি’র পক্ষ থেকে এক্সে’র (সাবেক টুইটার) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত