ক্যালভিন ক্লাইন চীনে নিষেধাজ্ঞার মুখে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ফ্যাশন ব্র্যান্ড ক্যালভিন ক্লাইন ও টমি হিলফিগারের মালিকানা প্রতিষ্ঠান পিভিএইচ কর্পকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে চীন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি জিনজিয়াং থেকে তুলা কিনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমানে তদন্ত করছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের ব্যবসায়িক তৎপরতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জোরপূর্বক শ্রম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জিনজিয়াংয়ের তুলা ও অন্যান্য পণ্যের ওপর মার্কিন বিধিনিষেধ এর অন্যতম। এছাড়া কয়েকদিন আগে নির্দিষ্ট চীনা বা রাশিয়ান প্রযুক্তি ব্যবহার করে— এমন স্মার্ট যানবাহন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি বা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছে জো বাইডেন প্রশাসন। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুকে এর কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিউইয়র্কভিত্তিক পিভিএইচ পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে উৎপন্ন তুলা বয়কট করে স্বাভাবিক বাজার লেনদেনের নীতি লঙ্ঘন করছে বলে তাদের সন্দেহ। বিষয়টি প্রমাণিত হলে খুচরা বিক্রেতা কোম্পানিটি চীনে ব্যবসা করতে পারবে না।
২০১৯ সালে প্রথমবার এ ধরনের তালিকা ঘোষণা করে বেইজিং, বর্তমানে এতে পাঁচটি আমেরিকান কোম্পানি রয়েছে। অবশ্য প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত এসব কোম্পানির কোনোটিই চীনে খুব বেশি ব্যবসা করে না। এ তালিকায় নাম থাকার অর্থ হলো, প্রতিষ্ঠানগুলো চীনে আমদানি, রফতানি ও বিনিয়োগ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে পিভিএইচ জানিয়েছে, কোম্পানি যেসব দেশ ও অঞ্চলে কাজ করে সেখানকার প্রাসঙ্গিক সব আইন ও প্রবিধান কঠোরভাবে মেনে চলে। পিভিএইচ চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাসঙ্গিক বিধি অনুযায়ী সাড়া দেবে। চীনে নিষিদ্ধ হলে ব্যবসায়িকভাবে বড় ধরনের ধাক্কা খাবে পিভিএইচ। কারণ অন্যান্য বৈশ্বিক ফ্যাশন কোম্পানির মতো দেশটি তাদের আয়ের বড় উৎস। চীনের প্রায় প্রতিটি প্রদেশে ক্যালভিন ক্লাইনের স্টোর রয়েছে। ২০২৩ সালের বার্ষিক পর্যালোচনায় তারা বলেছিল, ক্যালভিন ক্লাইনের প্রবৃদ্ধির জন্য চীনের বাজার গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। পশ্চিমা পোশাক ব্র্যান্ডগুলো আগেও জিনজিয়াং তুলার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে চাপের সম্মুখীন হয়েছিল। ২০২১ সালে সুইডিশ বহুজাতিক কোম্পানি এইচঅ্যান্ডএমের পণ্য চীনা শীর্ষ ই-কমার্স স্টোর থেকে বাদ পড়ে। প্রায় এক বছর পর কোম্পানিটি সেই ব্যবসায়িক অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে।
বাধ্যতামূলক শ্রম আইনের অধীনে ২০২২ সালের জুনে জিনজিয়াংয়ে উৎপাদিত সব ধরনের পণ্য নিষিদ্ধ করে জো বাইডেন প্রশাসন। এরপর নিজেদের সরবরাহ চেইন নীতি অনুসারে, জিনজিয়াং থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকরণ আমদানি নিষিদ্ধ করে পিভিএইচ। তবে চীনা কর্মকর্তারা বরাবরই জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। সূত্র : সিএএন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩২
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়
ঘনকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে
কনসার্ট মঞ্চে স্বৈরাচার হাসিনার বিচার দাবি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৪ ফিলিস্তিনি
ঘনকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে: ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে