মিয়ানমার জান্তার শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল বিদ্রোহীরা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সামরিক জান্তা সরকার আসার পর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে লড়ে আসছে বিভিন্ন বিদ্রোহী ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র পরিহার করে রাজনৈতিক সংলাপে বসার আহ্বান জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিদ্রোহীরা। মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটি শাসন করছে সেনাবাহিনী সমর্থিত ‘দ্য স্টেট অ্যাডিমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’ (এসএসি)। সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র জাতিগত বিভিন্ন গোষ্ঠী ও বিদ্রোহী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস এর (পিডিএফ) লড়াই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানের জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া, জান্তা সরকার কেবল সংলাপের শান্তি প্রস্তাবই নয়, বরং আগামী বছর পরিকল্পিত নির্বাচনেও বিদ্রোহীদেরকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের জান্তা-বিরোধী নির্বাসিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভমেন্ট (এনইউজি) বলেছে, জান্তার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার যোগ্য নয়। জান্তা সরকারের নির্বাচন করার কোনও এখতিয়ার নেই বলেও জানিয়েছে এনইউজি। গত বছরের অক্টোবরে বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একজোট হয়ে হামলা শুরুর পর থেকে মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ভূখন্ডের অর্ধেকেরও কম অংশের নিয়ন্ত্রণ এখন জান্তা বাহিনীর হাতে আছে। ফলে সামরিক বাহিনী এখন লড়াই অবসানের জন্য প্রচ- চাপের মধ্যে পড়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার জান্তা সরকার বিদ্রোহীদেরকে সংলাপে বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাল। কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এ আহ্বান এত সহজেই মেনে নেওয়ার পক্ষপাতি নয়। বিবিসি জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কয়েক দশক ধরে লড়ে আসা বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) বলেছে, সামরিক বাহিনী কয়েকটি সাধারণ রাজনৈতিক দাবি মানতে রাজি হলে তবেই আলোচনা হতে পারে। এর একটি হচ্ছে: ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কোনওরকম সামরিক অংশগ্রহণ থাকা যাবে না। দ্বিতীয়ত: দুই পক্ষকেই একটি ফেডারেল গণতান্ত্রিক সংবিধানে রাজি হতে হবে। আর তৃতীয়ত: সামরিক বাহিনী এ পর্যন্ত যা যা করেছে তার সবকিছুর জবাবদিহি তাদেরকে করতে হবেৃযুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জবাব দিতে হবে। এ বিষয়ে কোনও ছাড় তারা পাবে না। জান্তা সরকার এই সব দাবি মেনে না নিলে কেএনইউ তাদের ওপর রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাবে, বলেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির মুখপাত্র। মিয়ানমারের আরেক জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী বামার পিপলস লিবারেশন আর্মিও বলেছে, জান্তার শান্তি সংলাপের প্রস্তাবে তারা আগ্রহী নয়। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি