অর্থনীতি-অভিবাসনসহ নানা বিষয়ে ট্রাম্প-কমলার নীতিগত অবস্থান

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা দেশটির আসন্ন নির্বাচনে দুই প্রার্থী—ডেমোক্র্যাকট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিষয়ে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থান ও তাদের নীতির তুলনা করেছে। কমলা বলেছেন, নির্বাচনে জয়লাভ করে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম দিনের অগ্রাধিকার হবে কর্মজীবী পরিবারগুলোর খাদ্য ও আবাসনের খরচ কমানো। তিনি মুনাফা বৃদ্ধি নিষিদ্ধ করার, প্রথমবারের মতো বাড়ি কেনা ক্রেতাদের সহায়তা করার এবং আবাসনের সরবরাহ বাড়াতে প্রণোদনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প ‘মুদ্রাস্ফীতি শেষ করার এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আবার সাশ্রয়ী করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি ট্রাম্প সুদের হার কমানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, যদিও এটি প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। এ ছাড়া তিনি দাবি করেন, অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করলে আবাসন খাতে চাপ কমবে। কমলা তার প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে গর্ভপাতের অধিকারকে রেখেছেন এবং সারা দেশে প্রজনন অধিকার প্রতিষ্ঠার আইন প্রণয়নের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বার্তা দিতে লড়াই করছেন। তার প্রেসিডেন্সির সময় সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত তিন বিচারক ১৯৭৩ সালের রো বনাম ওয়েড নামে পরিচিত রায়ে দেওয়া গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। কমলা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবেলায় কাজ করেছেন এবং উত্তরাঞ্চলে অভিবাসন বন্ধ করতে আঞ্চলিক বিনিয়োগে বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে সহায়তা করেছেন। ২০২৩ সালের শেষে মেক্সিকো থেকে অভিবাসীদের সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছলেও এ সংখ্যা এর পর থেকে হ্রাস পেয়েছে। এবার প্রচারণায় তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় তার প্রসিকিউটর হিসেবে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ সম্পূর্ণ করা এবং প্রয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তিনি রিপাবলিকানদের কমলা সমর্থিত কঠোর সীমান্ত বিল বাদ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবৈধ অভিবাসীদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণবিতারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে জানিয়েছেন। কমলা বড় ব্যবসা ও বছরে চার লাখ ডলার বা তার বেশি উপার্জনকারী আমেরিকানদের ওপর কর বাড়াতে চান। পাশাপাশি তিনি পরিবারের ওপর করের বোঝা কমাতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে শিশুকর ছাড়ের সম্প্রসারণ। অন্যদিকে ট্রাম্প বহু ট্রিলিয়ন ডলারের করছাড়ের প্রস্তাব করেছেন, যার মধ্যে ২০১৭ সালে তার চালু করা করছাড়ের সম্প্রসারণও রয়েছে, যা মূলত ধনীদের সহায়তা করেছে। তিনি এই করছাড়ের ব্যয় উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে পূরণ করবেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুজনের কর পরিকল্পনাই বাজেট ঘাটতি আরো বাড়াবে। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ঘাটতি বেশি হবে। কমলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইউক্রেনকে যত দিন প্রয়োজন, তত দিন সমর্থন করবেন। তিনি এ-ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে চীন নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র একুশ শতকের প্রতিযোগিতায় যে বিজয়ী হয়, তা নিশ্চিত করবেন। বিবিসি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মার্কিন সমালোচনার কড়া জবাব দিলো পাকিস্তান
এবার পানামা খাল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার হুমকি ট্রাম্পের
পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ১৬ সেনা নিহত
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক হামলা
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বন্ধের দাবি রিপাবলিকানদের
আরও

আরও পড়ুন

প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস

প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস

৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়

৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়

বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়

বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়

ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড

ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড

গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ

গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ

এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ

এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ

আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?

আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?

হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে

হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে

ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন

ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন

দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা

দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা

নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই

নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে

বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম

বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম

সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা

সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা

সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ

সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার

সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী

সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার

বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক