ইসরাইলি তা-বকে হলোকাস্ট’র শামিল বললো ইহুদি সংগঠন
২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
গাজায় ইসরাইলের তা-বকে হলোকাস্ট’র শামিল বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় জায়নবাদবিরোধী ইহুদি সংগঠন ইহুদি ভয়েস ফর পিস। এক বিবৃতিতে জেভিপি বলেছে, আমাদের অনেকের বাবা-মা, দাদা-দাদী এবং প্রপিতামহ রয়েছেন নাৎসি বাহিনীর নৃশংসতা মিছিল থেকে বেঁচে গেছেন বা মারা গেছেন। আমরা সবাই নাৎসি হলোকাস্টের ছায়ায় বড় হয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান গাজার ছবির সঙ্গে হলোকাস্টের ছবি জুড়ে তারা লিখেছে, ইসরাইল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে ফিলিস্তিনে ইচ্ছাকৃতভাবে গণহত্যা করে একটি হলোকাস্ট চালাচ্ছে। এর আগে কিছু ফিলিস্তিনি সমর্থক গাজায় ইসরাইলি হামলাকে হলোকাস্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধকে হলোকাস্ট বলে অভিহিত করে কোনো ইহুদি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এটিই প্রথম বিবৃতি বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মান নাৎসি বাহিনী প্রায় ১.১ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছিল, যেখানে সময় প্রায় ৬০ লাখ ইহুদি ছিলেন। গণহত্যার এই বিষয়টিকে হলোকাস্ট বলে উল্লেখ করা হয়। গত অক্টোবরে ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তদের অর্ধেকই নারী ও শিশু। সেই সঙ্গে স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল এবং জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে। বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা ছাড়াও ইসরাইলি বাহিনী সাংবাদিক, চিকিৎসাকর্মী এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীদের হত্যা করেছে। হাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজারের কিছু বেশি হলেও কিছু অনুমান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপর এক খবরে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৯০ জন ইসরাইলি সেনা, পুলিশ কর্মকর্তা ও সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মেহের নিউজ এজেন্সি বলছে, ২০২৩ সালে হামাসের প্রতিরোধ আন্দোলন আল আকসা স্টর্ম অপারেশন শুরু করে। অপারেশনে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারী এবং সশস্ত্র সৈন্য নিহত হয়। এরপরই ইহুদিবাদী সরকার গাজা উপত্যকায় গণহত্যা অভিযান শুরু করে। আল আকসা স্টর্ম অভিযানের পর ইসরাইল গাজা অঞ্চলে তীব্র অভিযান শুরু করে। হামাসকে নিধনের নামে চলমান এই অভিযানের প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখেরও বেশি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অপরদিকে, গাজাতেই থেমে থাকেনি ইসরাইল, লেবাননেরও চলছে ব্যাপক বোমা বর্ষণ। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে ইতিমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ১২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বহু চিকিৎসকসহ শত শত বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। যুদ্ধের সময় প্রায় ১.২ মিলিয়ন লেবানিজ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রয়টার্স, মেহের নিউজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠছে ব্যালন ডি'অর?
হল্যান্ডের গোলে জিতে সবার উপরে সিটি
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
রফতানির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে