হামাসের সঙ্গে চুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে ইসরাইলিরা
১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
শনিবার হামাসের কাছে জিম্মি আটকের ৪০০তম দিন পূর্ণ হয়েছে। এ দিন জিম্মি মুক্তি বিনিময় চুক্তি নিশ্চিত করার দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ হয়েছে ইসরাইলে। স্বজনদের দাবি, একমাত্র চুক্তিই তাদের প্রিয়জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারে। গত বছরের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, কয়েক ডজন বেসামরিক ও সৈন্যকে হত্যা ও বন্দি করে গাজায় জিম্মি করে নেওয়া হয়। এসব জিম্মিদের রাখা হয়েছে, যেখানে এই অঞ্চলের চলমান সংঘর্ষ ও অবরোধের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে অনেককে গাজায় ভয়ানক পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হয়, যা হামাসের কর্মকা-ের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলা এবং সামরিক অভিযান দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।৪০০ তম দিন, জিম্মিদের পরিবারের জন্য জন্য হতাশার, আবেগেরও। অনেকেই কূটনৈতিক এবং সামরিক উপায়ে তাদের প্রিয়জনের মুক্তির পক্ষে কথা বলছেন। এই বিক্ষোভ থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। জিম্মি মুক্তি নিয়ে ইসরাইলি সরকার, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে উভয়ই চাপের মধ্যে রয়েছে। একদিকে, বন্দি বিনিময়ের জন্য জনসাধারণের আহ্বান এবং অন্যদিকে, এই ধরনের বিনিময় প্রক্রিয়ায় জটিল নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে। অপর এক খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরাইলের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হয়। যা আজ শনিবার ৪০০ দিনে পৌঁছেছে। এই সময়ের মধ্যে গাজায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার ও বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার সেনারা। তাদের হামলায় ছোট এ উপত্যকায় ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের ৭০ শতাংশই নিরীহ নারী ও শিশু। ইসরাইলিদের হামলায় এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার মানুষ। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আরও ১০ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ হাজার ৩৮৫ জনই শিশু। যারমধ্যে ৮২৫ শিশুর বয়স এক বছরেরও কম ছিল। অর্থাৎ পৃথিবীতে আসার পর নিজ পায়ে হাঁটার আগেই দখলদারদের বর্বরতায় দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়েছে তাদের। নিহত বাকিদের মধ্যে ১২ হাজারই নারী। ইসরাইলি হামলায় গাজায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। এক হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। যারা অন্যকে সহায়তা করতে গিয়ে নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২ হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা যুদ্ধের আগে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। এই যুদ্ধে গাজায় ফেলা হয়েছে ৮৬ হাজার টন বিস্ফোরক। এসব বিস্ফোরকের আঘাতে গাজা একটি ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে। সেখানে এমন কোনো বাড়ি নেই যেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এছাড়া দখলদার অবরোধের কারণে গাজার মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার শঙ্কায় আছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছ সেখানকার মানুষ এখনই না খেয়ে দিনযাপন করছেন। টাইমস অফ ইসরাইল, আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পলাতক ওসিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি, অভিযানে সেনাবাহিনী-পুলিশ-র্যাব
কানাডার লিবারেল পার্টি ৯ মার্চ নতুন নেতা নির্বাচন করবে
স্বৈরাচারের সহযোগীদের রাজনৈতিক দলে ঢোকালে প্রতিরোধ করা হবে : ড. রিপন
দশ বছর পর ফের পুরষ্কৃত মালালা, ফিরছেন পাকিস্তান
ভারতে এক মাসে এক গ্রাহক পেলেন ২১০ কোটির বিদ্যুৎ বিলের কপি
সাতক্ষীরায় ইজিবাইকের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে কিশোরী নিহত
সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী জনগণ, রাজনৈতিক দলের কোনো ভূমিকা নেই
চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে গোট জেলা
খলনায়ক এআই, একধাক্কায় বেকার হতে চলেছেন ২ লাখ কর্মী
মক্কায় বন্যার পানিতে ভেসে গেল গাড়ি, ৪ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে অস্ত্রের মুখে ১৭ সরকারি কর্মীকে অপহরণ
যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল নেভানোর কাজে এবার নামানো হলো কারাবন্দিদের
পোল্যান্ড সীমান্তে বেলারুশের সেনা উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার যানজট
আগুনে পুড়ে ছাই হলিউড তারকাদের বাড়ি-ঘর
লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১০ জন নিহত, সতর্কবার্তা জারি
লাকসামে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা, মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন
হলুদ রঙে সেজেছে ক্ষেত
গোপালগঞ্জে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই স্কুল ছাত্র নিহত