চীনের নতুন মেগাপোর্ট উদ্বোধন
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
বর্তমান বিশ্ব যখন অপেক্ষা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসা নিয়ে। অন্যদিকে ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক নতুন করে সম্পর্ক কতটা ঠিক থাকবে সেটা নিয়েও চিন্তিত। ঠিক তখনই চীন আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে যা লাতিন আমেরিকায় তার প্রভাব আরও শক্তিশালী করবে। চীনের তৈরি এক নতুন মেগাপোর্ট,যা উত্তর আমেরিকাকে পাশ কাটিয়ে এক নতুন বাণিজ্য পথ তৈরি করবে সেই প্রকল্পটি উদ্বোধন হয়েছে। এই মেগাপোর্টটি পেরুর চাঞ্চাই শহরে অবস্থিত,যা সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোসকো শিপিং দ্বারা নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পটি ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের।প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে যখন পেরুতে বৈঠকের জন্য উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি মেগাপোর্টের উদ্বোধন করেন।এই সময়,তিনি পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের সাথে বৈঠক করেন এবং মেগাপোর্টকে এশীয় বাজারের বিশাল প্রবাহের একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বর্ণনা করেন। চাঞ্চাই পোর্টের মাধ্যমে পেরু, চিলি, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া এবং এমনকি ব্রাজিলের পণ্য সরাসরি চীন এবং এশিয়ার অন্যান্য বাজারে পাঠানো যাবে।এই নতুন মেগাপোর্টটি বৃহৎ জাহাজগুলোকে পরিবহন করতে সক্ষম,এবং শিপিংয়ের সময় ৩৫ থেকে ২৩ দিন পর্যন্ত কমিয়ে আনবে।এর ফলে এই অঞ্চলের বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারিত হতে পারে।তবে এই পোর্ট শুধু পণ্য রপ্তানির জন্য নয়,আমদানির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ,কারণ এটি চীনের সস্তা পণ্যগুলোকে দ্রুত দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছাতে সহায়তা করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জেনারেল লরা রিচার্ডসন সতর্ক করেছেন যে চাঞ্চাই পোর্ট চীনের জন্য একটি দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য স্থল হিসেবে কাজ করতে পারে,যেখানে ভবিষ্যতে চীনা নৌবাহিনীও অবস্থান নিতে পারে।এটি আমেরিকার জন্য এক বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে, চীন তার বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রচুর উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে,তবে সেসব প্রকল্পের সাফল্য সবসময় সুস্পষ্ট নয়। বহু উন্নয়ন প্রকল্প অসমাপ্ত রয়ে গেছে এবং অনেক দেশই চীনের ধার প্রদান শর্তে বেকায়দায় পড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন এটি বড় চ্যালেঞ্জ,কারণ দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণের জন্য চীনকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে।আমেরিকার সঙ্গে ল্যাতিন দেশগুলোর স্বাধীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আছে,এবং ট্রাম্প সরকার যদি সেই চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিল করে দেয়,তবে সেগুলো চীনের দিকে ঝুঁকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো তাদের আঞ্চলিক স্ট্র্যাটেজির গুরুত্ব বুঝতে পারছে,এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে,এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে ভালো হবে যদি তারা একযোগে কাজ করে একটি শক্তিশালী কৌশল তৈরি করতে পারে। এই ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা, এবং তা সামনে আরও বৃহত্তর প্রভাব ফেলতে পারে, যদি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘোষণা করা হয়েছে মেলন মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ - এর মনোনীতদের নাম
চীনে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭
সরিষাবাড়ীতে বিএনপির বিশাল জনসভা - দেশপ্রেমের আহ্বান শামীম তালুকদারের
মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ‘ধর্মযুদ্ধে’ নামতে বললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে খেলাধুলার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে - মেজর হাফিজ।
৫ আগস্টের বিজয়ে তারেক রহমান পনেরো বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন
পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: আইজিপি
নারায়ণগঞ্জে হরতালের সমর্থনে মিছিল
জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থানে শহীদদের নামে উপজেলা পর্যায় হবে স্টেডিয়াম
বিশ্বজনতার নজর আমেরিকায় কেন?
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি : ফ্যাসিবাদের পক্ষাবলম্বনে কুগেলম্যান
অর্থনীতি ও নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে
হতাশ মুসলিম ভোটাররা
ঘুরে দাঁড়িয়ে মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশ
বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা জানালেন মার্কিন সিনেটর
অস্ট্রিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করছে রাশিয়া
দ্বিগুণ সাহায্য চায় ভঙ্গুর দেশগুলো
গালওয়ান সীমান্ত নিয়ে বিভেদ ভুলে যাচ্ছে ভারত ও চীন
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পকে যে আহ্বান জানাল হামাস
ব্রিটেনে পুরুষদের ফুসফুস ক্যান্সারের হার সর্বাধিক