বিয়ে করতে না চাওয়া বা সম্পর্ক ভাঙা মানেই আত্মহত্যার প্ররোচনা নয়

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

উদ্দেশ্যপূর্ণ কাজ বা প্ররোচনার প্রমাণ না থাকলে শুধু বিয়েতে অস্বীকার করাকে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ১৭ বছর আগের মামলায় দণ্ডিত এক ব্যক্তির সাজা বাতিল করে দেওয়া রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তাল ও উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আদালত বলেছেন, বিয়েতে অস্বীকৃতি বা দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া কষ্টদায়ক হলেও, তা মানুষের জীবনেরই অংশ। দুঃখজনকভাবে এমন ঘটনার পর অনেকেই কষ্টে বা হতাশায় আত্মহত্যা করেন ও এর জন্য আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু অপরাধের স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলে এমন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে কামরুদ্দিন দস্তগীর সানাদি নামে কর্ণাটকের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক নারীর মা। এফআইআরে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী ওই নারীর সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির আট বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ‘প্রতিশ্রুতি দিয়ে’ বিয়ে না করায় ওই নারী ২০০৭ সালের আগস্টে আত্মহত্যা করেন। তখন সানাদির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) ও ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। কর্ণাটকের বিচারিক আদালত আসামিকে সব অভিযোগ থেকে খালাসের রায় দেন। কিন্তু কর্ণাটক সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট সানাদিকে প্রতারণা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ২৫ হাজার রুপি অর্থদণ্ড দেন। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সানাদি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। ঘটনার প্রায় ১৭ বছর পর গত শুক্রবার আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বাতিল করলেন। ১৭ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেন, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ ছিল না। ভুক্তভোগী নারীর আত্মহত্যার পেছনে অভিযুক্তের কোনো উদ্দেশ্যপূর্ণ কাজ বা প্ররোচনারও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিচারপতিরা বলেন, সম্পর্ক ভাঙা মানসিক কষ্টের কারণ হতে পারে। কিন্তু এটি অপরাধমূলক আচরণে প্ররোচনা দেয় না। এনডিটিভি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড