প্রতিশ্রুতি ভেঙে ছেলেকে ক্ষমা বাইডেনের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

আর মাত্র কয়েকদিন। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের অফিসে ঢুকবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছেলে হান্টার বাইডেন দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন, তাকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা-বলে ক্ষমা করে দিলেন জো। এর ফলে হান্টারকে আর জেলে যেতে হবে না।
হান্টারের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ ছিল। আদালতে তার দোষ প্রমাণিত হয়েছে। আমেরিকায় শাস্তি মওকুফের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকে প্রেসিডেন্টের হাতে। তিনি চাইলে কারো দোষ মওকফ করে দিতে পারেন। হান্টারের ক্ষেত্রে সে কাজই করলেন বাইডেন। সংবাদসংস্থা এএফপি-কে ইমেলে এবিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হান্টার। সেখানে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমা তিনি জীবন দিয়ে মনে রাখবেন। অসুস্থ এবং রোগক্লীষ্ট মানুষের সেবার কাজে তিনি বাকি জীবন নিয়োজিত করবেন। এটিই হবে তার পাপস্খালনের পথ। নিজের কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন হান্টার। বলেছেন, ‘ওই অন্ধকার দিনগুলি ছিল নেশার। ওই সময় এমন কিছু ভুল করেছি, যার জন্য আমি এখনো লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আমার কাজের জন্য পরিবারকে লজ্জিত হতে হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক জীবনে এর প্রভাব পড়েছে।’
জো বাইডেনের বিবৃতি অবশ্য অন্য কথা বলছে। বাইডেন জানিয়েছেন, ‘হান্টারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে এবং যেভাবে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তা অভূতপূর্ব। আমার ছেলে বলেই তাকে চরম শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ রাজনৈতিক।’ ২০২০ সালে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরেই হান্টার জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। বাইডেন বলেছেন, ‘কংগ্রেসে কিছু ব্যক্তি আমার রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তাদেরই চক্রান্তে হান্টারকে ফাঁসানো হয়েছিল। সে কারণেই একজন বাবা এবং একজন প্রেসিডেন্টকে এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হলো।’ এর আগে বাইডেন বার বার জানিয়েছিলেন, তিনি কোনভাবেই পরিবারের কারো জন্য এই ক্ষমতা ব্যবহার করবেন না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রও সে কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলেন বাইডেন। অন্যদিকে, বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান এমপিরা।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড