বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ এএম
বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন। পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতায় অবশেষে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। তার কথায়, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হল। এমনকী বাজেট প্রস্তাবের বিরোধীদের নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন ইউন সুক, শুধু তাই নয়, তাদের উত্তর কোরিয়াপন্থি হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
দেশটির সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিউলের মন্ত্রিসভায় সামরিক আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন ইউন সুক। তাই মনে করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই আদেশটি বাতিল হবে। মঙ্গলবার মার্শাল ল’- জারির এমন আদেশ মেনে নিতে পারেননি আইন প্রণেতারা। শেষে এর বিপক্ষে পার্লামেন্টের ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন ভোট দেন। এরপরেই ইউন জানান, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের অবস্থান তিনি মেনে নেবেন। এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অবিলম্বে এ আইন প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি তিনি একটি সংবাদমাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, পার্লামেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা ইতিমধ্যেই তিনি সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছেন। আর এই মূহুর্তে পার্লামেন্টের প্রস্তাব গ্রহণ ও সামরিক আইন প্রত্যাহার করার বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক করছে। তাদের বৈঠকের পরই সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হবে।
এর আগে আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির খবরে বিক্ষোভে শুরু হয় দেশে। এমনকী সাধারণ মানুষ প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হন এবং বিক্ষোভ দেখান। এরপর এই বিক্ষোভ থামাতে হস্তক্ষেপ করেন পুলিশ। বিক্ষোভ কারীদের মতে, নাগরিক হিসেবে এই আইনের বিরুদ্ধে সবার পদক্ষেপ নেয়া উচিত। একনায়কতন্ত্রের যুগ চলে এসেছে। প্রেসিডেন্টের এই কাজটি করা মোটেও উচিত হচ্ছে না। এমন একটি পদক্ষেপ জাতির জন্য লজ্জার কারণ। আসলে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতেই সামরিক আইন জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। যার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ পুনর্গঠন করবেন বলেও আশা করেছিলেন তিনি। সূত্র : এপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন বঞ্চিত বিধবার
দোয়ারাবাজারে অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ!
তালেবান শাসনকে বৈধতা না দেওয়ার আহ্বান নোবেলজয়ী মালালার
ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের
ঢাকার বাইরে প্রথম নরসিংদীতে রয়েল এনফিল্ড লঞ্চ
ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধিত করা সম্ভব
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না : হাইকোর্ট
বিদ্যুৎ প্লান্টের পাঁচ লাখ টাকার লোহা তামা স্টিল সামগ্রী চুরির দায়ে ৫০ জনের নামে মামলা
নেত্রকোনা গত ১ বছরে ২৩২টি অস্বাভাবিক মৃত্যু
মেহেরপুর শহরে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম ফুটপথ দখল, সরু সড়ক, যানজট লেগেই থাকে
অ্যাপলের ডাইভার্সিটি নীতি , বৈচিত্র্য রক্ষার লড়াইয়ে বোর্ডের বার্তা
ঢাবি,ভিকি,এনএসইউ ওয়েটিং লিস্টে থাকে,বান্নাহ খাওয়া মাল খায় না'
দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা কর্নেল অলির
আশুলিয়া থানা জমিয়তের কমিটি গঠন
বাংলাদেশের সীমান্তে ১৬০ জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী
মতলবে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা-সাবেক স্বামী আটক
লক্ষ্মীপুর থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার কষ্টিপাথর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর
অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলে শর্ট ও হার্ডি, কামিন্সকে নিয়ে শঙ্কা
'ব্লু অরিজিন' রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি সম্পন্ন,শুভকামনা জানালেন ইলন মাস্ক
কমলনগরে ট্রাক্টরট্রলির চাপায় চটপটি বিক্রেতার মৃত্যু