আসাদ শাসনের অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার সিরিয়ার বিদ্রোহীদের

ইনকিলাব ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা গত এক সপ্তাহে চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ শহর দেরা দখল করেছে, যা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলের জন্য একটি বড় আঘাত। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ১৩ বছরে দেরা প্রদেশ একটি প্রতীকী স্থান, যেখানে বিদ্রোহের শুরু হয়েছিল।
বিদ্রোহীরা শুক্রবার জানায় যে, তারা দেরার দখল নিয়েছে, যা আসাদের সেনাদের কাছে আরেকটি পরাজয়ের একটি ধাপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।প্রায় ১ লাখ জনসংখ্যার শহর দেরা যা সিরিয়া ও জর্ডানের সীমান্তে অবস্থিত। শহরটি একটি প্রাদেশিক রাজধানী এবং এর দখল বিদ্রোহীদের মনোবল বৃদ্ধি করেছে। এর আগে বিদ্রোহীরা হোমস শহরের প্রান্তে অগ্রসর হওয়ার দাবি করেছিল।
দেরার পতনের পাশাপাশি বিদ্রোহীরা হোমস শহরের দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা হোমসের শহরতলির সর্বশেষ গ্রামটি মুক্ত করেছে এবং এখন শহরের প্রাচীরে পৌঁছে গেছে। হোমস দখল করলে দামেস্কের সঙ্গে আলাওয়াইত সংখ্যালঘুদের উপকূলীয় ঘাঁটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। এটি রুশ সমর্থিত নৌ ও বিমানঘাঁটির জন্যও একটি বড় হুমকি।
দেরার পাশাপাশি বিদ্রোহীরা আরও কয়েকটি শহর দখল করেছে, যার মধ্যে আলেপ্পো এবং হামা উল্লেখযোগ্য। মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান কুর্দি বাহিনী শুক্রবার দেইর ইজ-জোর শহর দখল করেছে, যা পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ঘাঁটি। অন্যদিকে, ইসলামিক স্টেটও পূর্ব সিরিয়ার কিছু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
বিদ্রোহীদের এই অগ্রগতি আসাদের শাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ অভিযান শত্রুকে ভেঙে দিয়েছে’। তিনি বিদ্রোহীদের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সিরিয়ার এই যুদ্ধ গত এক দশকে ৩ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। রুশ ও সিরিয়ার যৌথ আক্রমণে বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি সাধন হলেও বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক সাফল্য যুদ্ধক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
সিরিয়ার চলমান সংঘাত দেশটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহী ও সরকারপক্ষের সংঘর্ষে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জরুরি। সূত্র : খালিজ টাইমস

বিভাগ : আন্তর্জাতিক