দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের সামরিক আইন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে অল্প সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করার কারণে তিনি এখন তদন্তের মুখোমুখি। তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করেছে।
গত মঙ্গলবার (০৩ডিসেম্বর) সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। এই পদক্ষেপের কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানায়।পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, শাসক দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) প্রেসিডেন্ট ইউন-এর শাসনকাল সংক্ষিপ্ত করার এবং তাকে বিদেশ ও অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি এই সিদ্ধান্তকে “অবৈধ এবং অসাংবিধানিক” বলে অভিহিত করেছে। উল্লেখ্য, সামরিক আইন ঘোষণার পেছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন, যিনি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কমান্ডার ইয়েও ইন-হিউং এবং সেনাবাহিনী প্রধান পার্ক আন-সুসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরপরই ইউন-এর অফিসের সিনিয়র সহযোগীরা পদত্যাগপত্র জমা দেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি স্যাং-মিন দায়িত্বহীনতার জন্য ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেন। বিরোধী দলের নেতা পার্ক চান-ডে এবং লি জে-মিয়ং ইউন-এর পদক্ষেপকে ‘দ্বিতীয় অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইউন সুক ইয়োল গত শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে সামরিক আইন পুনরায় আরোপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, তার ক্ষমতা এখনও বহাল রয়েছে এবং তিনি যেকোনো সময় পুনরায় সক্রিয় হতে পারেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই রাজনৈতিক সংকট দেশটির স্থিতিশীলতা এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। বিরোধী দল তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে, এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন। জনগণের আশা, ক্রিসমাসের মধ্যে দেশ পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। তথ্যসূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

লিটনকে বাদ দেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

লিটনকে বাদ দেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

টেকনাফ জিবির অভিযানে ২লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফ জিবির অভিযানে ২লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

মোংলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থী নিহত

মোংলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থী নিহত

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারণ সহ ৯ দফা দাবিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারণ সহ ৯ দফা দাবিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা সহজ করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা সহজ করল বাংলাদেশ

ওজন কমাও মাসুদ, না হলে মানুষ মাংস কেটে নেবে!

ওজন কমাও মাসুদ, না হলে মানুষ মাংস কেটে নেবে!

৭৫-এর বীরদের নিয়ে যে বার্তা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

৭৫-এর বীরদের নিয়ে যে বার্তা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

সম্মেলন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি সভাপতি নিহত

সম্মেলন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি সভাপতি নিহত

কিশোরগঞ্জে অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

জামায়াতের ৫-১৫% বেশি ভোট নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, যা বললেন ফাহাম

জামায়াতের ৫-১৫% বেশি ভোট নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, যা বললেন ফাহাম

বিকাশের দোকানে হামলা করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

বিকাশের দোকানে হামলা করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

ঝালকাঠিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন

ঝালকাঠিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন

মাগুরায় সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণ জনপ্রিয় হচ্ছে

মাগুরায় সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণ জনপ্রিয় হচ্ছে

নগরকান্দায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দুইজন নিহত

নগরকান্দায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দুইজন নিহত

হাত বদলে দাম বাড়ে সবজিতে, নিরুপায় ক্রেতা

হাত বদলে দাম বাড়ে সবজিতে, নিরুপায় ক্রেতা

সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির

সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির

না ফেরার দেশে সংগীতশিল্পী স্যাম মুর

না ফেরার দেশে সংগীতশিল্পী স্যাম মুর

এবার বাংলাদেশেও এইচএমপিভি শনাক্ত

এবার বাংলাদেশেও এইচএমপিভি শনাক্ত

৫ আগস্ট থেকে মর্গে কাবিলের লাশ, পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করলেন স্ত্রী

৫ আগস্ট থেকে মর্গে কাবিলের লাশ, পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করলেন স্ত্রী

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি বেসিসের

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি বেসিসের