কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কী নিয়ে বিতর্ক চলবে, তা অনেকটাই নির্ধারণ করে দেয় দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন পরামর্শক ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যাদের বলা হয় ‘থিংক ট্যাংক’। কিন্তু দেশটির শীর্ষস্থানীয় অনেক থিংক ট্যাংক কালো টাকায় ‘ভাসছে’ বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এসব কালো টাকার বেশির ভাগই আসে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও পেন্টাগনের সঙ্গে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে। গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট’। এতে নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির দুই গবেষক বেন ফ্রিম্যান ও নিক ক্লেভিল্যান্ড-স্টোট। গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ৫০টি থিংক ট্যাংকের অর্থায়নের স্বচ্ছতা দেখার চেষ্টা করেছেন তারা। দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৪) এসব প্রতিষ্ঠান অন্য দেশের সরকার ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১১ কোটি ডলারের বেশি অর্থ অনুদান হিসেবে পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে টাকা ঢালার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর পরেই আছে যুক্তরাজ্য ও কাতার। এই তিনটি দেশ দিয়েছে যথাক্রমে এক কোটি ৬৭ লাখ, এক কোটি ৫৫ লাখ ও ৯১ লাখ ডলার। অন্যদিকে এসব অর্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে আটলান্টিক কাউন্সিল, ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট ও জার্মান মার্শাল ফান্ড। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব থিংক ট্যাংক প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পেয়েছে তিন কোটি ৪৭ লাখ ডলার। গত পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোম্পানিগুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ঢেলেছে নর্থরোপ গ্রুমম্যান, লকহিড মার্টিন ও মিতসুবিশি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টির মধ্যে ৩৬ শতাংশ (১৮টি) থিংক ট্যাংক বিপুল পরিমাণ কালো টাকায় ‘ভাসছে’। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থায়ন সম্পর্কে প্রায় কোনো ধরনের তথ্যই প্রকাশ করে না। নয়টি প্রতিষ্ঠান (১৮ শতাংশ) অর্থায়নের উৎসের ব্যাপারে পুরোপুরি স্বচ্ছ রয়েছে। ২৩টি প্রতিষ্ঠান (৪৬ শতাংশ) আংশিক স্বচ্ছ। গবেষকরা বলছেন, গত পাঁচ বছরে মার্কিন সরকার দেশটির থিংক ট্যাংকগুলোকে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার দিয়েছে। এর সিংহভাগই পেয়েছে র্যান্ড করপোরেশন, যারা সরাসরি মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করে। কালো টাকায় চলা শীর্ষস্থানীয় ১৮টি থিংক ট্যাংকের তালিকায় রয়েছে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট, বেলফার সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, ক্যাটো ইনস্টিটিউট, সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজ, সেন্টার ফর পলিসি সিকিউরিটি, সেন্টার ফর ট্রান্সআটলান্টিক রিলেশনস, ডিসকভারি ইনস্টিটিউট ও ফরেইন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ফাউন্ডেশন ফর দ্য ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসি, গেইটস্টোন ইনস্টিটিউট, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইন্সটিটিউট, হার্টল্যান্ড ইনস্টিটিউট, হুভার ইনস্টিটিউশন, ম্যানহাটন ইনস্টিটিউট ফর পলিসি রিসার্চ, মার্কাটাস সেন্টার, নিউলাইনস ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি, থার্ড ওয়ে এবং ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির নামও আছে এই তালিকায়। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রী কোটা ১ হাজারই থাকছে
বিপিএলে ছক্কার নতুন রেকর্ড
জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তির মধ্যে দূরত্ব কাম্য নয়
সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে
ফুডপ্যান্ডায় সিপি ফাইভ স্টারের ১০০টি আউটলেটের খাবার অর্ডার করা যাবে
চীন সফর বাতিল, মন্ত্রীত্ব হারানোর ঝুঁকিতে টিউলিপ
রাজধানীর উত্তরাতে শীতার্তদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এলো ৫ টন জিরা
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন মোহাম্মদ নুরুল হক
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করবে সরকার: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে বাস উপহার দিল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
বোরাক রিয়েল এস্টেটের ৪০০ কোটি টাকার আইপিও আবেদন বাতিল করেছে বিএসইসি
সাংবাদিকদের লাশ উদ্ধার
সিরিয়ায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা
ঈশ্বরগঞ্জে তরুণদের নিয়ে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মেক্সিকোতে পানশালায় বন্দুক হামলা, নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের ৭ অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা, ১৫০০ ফ্লাইট বাতিল
চলতি বছর গরম নিয়ে দুঃসংবাদ
কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান
গাজায় ১ হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল