লেবাননের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের অনিশ্চয়তায়
১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম
ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেবাননের হাজার হাজার বাসিন্দার ঘরবাড়ি। ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেবাননের হাজার হাজার বাসিন্দার ঘরবাড়ি। ইসরাইলি বিমান হামলায় দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের অনেক অঞ্চলসহ বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠের অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও স্থানীয়রা এখনো নিজ আবাসস্থলে ফিরতে পারছে না। তাদের ঘরবাড়ি পুনর্র্নিমাণ নিয়ে বাড়ছে তড়িঘড়ি। ক্ষতিপূরণ দেয়ার কাজও চলছে বেশ ধীরগতিতে। এমনকি চুক্তির সব শর্ত পূরণ হবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইসরাইল-হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে নভেম্বরের শেষে। এ চুক্তির আওতায় লেবাননের দক্ষিণে থাকা ইসরাইলি বাহিনী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা। তবে এটি কার্যকর হওয়া নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ঘরবাড়ি পুনর্র্নিমাণের খরচ কারা বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।লেবাননের অর্থনৈতিক অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই অচলাবস্থায় রয়েছে। তাই বাড়িঘর পুনর্র্নিমাণে দেশটির সরকারি সহায়তা খুবই কম হতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো গাজা ও পাশের দেশ সিরিয়ার যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ব্যস্ত। ২০০৬ সালে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এক মাসব্যাপী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সে সময় হিজবুল্লাহ ইরানের সহায়তায় ২৮০ কোটি ডলার মূল্যের পুনর্র্নিমাণের বেশির ভাগ খরচ নিজেই বহন করেছিল। সংগঠনটি জানিয়েছে, এবারো তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এরই মধ্যে কিছু ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু করেছে।লেবাননবাসীরা বলছেন, তারা হিজবুল্লাহর প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে এরই মধ্যে তারা যে অর্থ পেয়েছেন, তা তাদের বাড়ির ক্ষতির তুলনায় অনেক কম।লেবাননের দক্ষিণের মারজায়উন গ্রামের মানাল (৫৩) নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ধ্বংস হয়েছে জুলাইয়ে। পুরো পরিবার প্রায় এক বছর ধরে বাস্তুচ্যুত। আমরা এখনো কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি।’ হিজবুল্লাহর নির্মাণ শাখা জিহাদ আল-বিনার পরিচালক হোসেইন খাইরেদ্দিন বলেন, ‘আমরা লেবাননের ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করেছি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি। প্রতিটি বাড়ির নকশা প্রস্তুত হচ্ছে।’ যদিও তিনি পুনর্র্নিমাণ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাননি। বিশ্বব্যাংকের নভেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধের ফলে লেবাননে ৮৫০ কোটি ডলারের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। তবে লেবাননের উপপ্রধানমন্ত্রী সাদি চামি জানান, এ হিসাবে যুদ্ধের শেষ মাসের ক্ষতির কথা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, লেবাননের ৯৯ হাজার ২০৯টি আবাসিক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে ১৮ শতাংশ ঘরবাড়ি। এপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ার নন্দীগ্রামে তারুণ্যের ফুটবল প্রতিযোগিতার উৎসব
দেশে অবস্থানরত অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের আবারও সতর্ক করল সরকার
কালীগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী
বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়কের বহিষ্কার দাবি
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানালেন জয়
খালেদা জিয়া অনেকটা ভালো আছেন : মির্জা ফখরুল
সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাভাবিক বিকাশ হবেনা- কমিশন প্রধান
সিংগাইরে স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মালি আছে, বাগান নেই
পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
নতুন খেলোয়াড় চান গুয়ার্দিওলা
এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, জব্দ ১৬ সম্পদ
সিলেটসহ দেশের পাথর ও বালু মহাল নিয়ে সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত
দৌলতপুরে নগদের মার্কেটিং অফিসারকে কুপিয়ে জখম
গোলের সুযোগ নষ্ট, হাভার্টজের পরিবারকে হত্যার হুমকি
ইসলামী আন্দোলনের আয়োজনে ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
প্লট দুর্নীতি : শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
নেছারাবাদে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষন গ্রেফতার-৩
পিরোজপুরে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
হামাসের নতুন নেতা কে এই মোহাম্মদ সিনওয়ার?