৯৫ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেনি থাইল্যান্ড
৩০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ এএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ এএম

থাইল্যান্ডে শুক্রবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তা গত ৯৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূকম্পন ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির খনিজ সম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক পিচিত সোমবাতম্যাক। ১৯৩০ সালের পর থাইল্যান্ডে আঘাত হানা এটিই সবচেয়ে বড় ভূকম্পন। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। পিচিত জানান, রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার মধ্যে পরিমাপ করা এই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে আঘাত হানে। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয় এলাকার সাগাইং ফল্টে, যা সাগাইং শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এবং ব্যাংকক থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রের গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটারশক অনুভূত হয়। শক্তিশালী এই কম্পন থাইল্যান্ডের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলে, এমনকি ব্যাংককেও অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন পিচিত। শক্তিশালীয় এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন প্রদেশে, যার মধ্যে রয়েছে চিয়াং মাই, চিয়াং রাই, তাক, মে হং সন, লামফুন, লাম্পাং, ফিৎসানুলোক, খন কায়েন, নাখন রাতচাসিমা, উডন থানি, উবন রাতচাথানি, চোন বুরি, সোপান বুরি, কানচানাবুরি, নাখন সাওয়ান, রাতচাবুরি, লোপ বুরি, নাখন নায়োক এবং ব্যাংকক ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। এ অবস্থায় জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং যেকোনো পরবর্তী ভূমিকম্প বা আফটারশকের বিষয়ে সরকারি গণমাধ্যমের খবর পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ। এদিকে, ব্যাংককে ভূমিকম্পে ভবন ধসের ঘটনায় নিখোঁজ শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৭০ জন হয়েছে। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন বলছে, নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসের ঘটনায় আগে যেখানে ৪৩ জন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটি আরও বেড়েছে। ধসের সময় সেখানে প্রায় ৩২০ জন কর্মী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ২০ জনের মতো লিফটে আটকা পড়েন। ওই ভবনের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখনো অস্পষ্ট। উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। থাই পিবিএস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিং কংগ্রেসে বিল উত্থাপন

যে কারণে ৭১’র জন্ম হয়, ঠিক একই কারণেই জন্ম হয় ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

নাটোরে ঈদগাহে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ

গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্যের ইসরায়েলি দাবি ‘হাস্যকর’: জাতিসংঘের সমালোচনা

আট মাস পর হাসান মাহমুদকে দেখা গেল লন্ডনে

ঈদ অনুষ্ঠানে ধর্ম নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর মন্তব্যকে ঘিরে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গন

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫ জন

কবে মুক্তি পাবে ‘স্পাইডার ম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’?

ধানের শীষে ভোট দেয়ায় নারীকে ধর্ষণ, বিচার চেয়েও পায়নি

ফের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ইমরান খান

ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষ

মানিকগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

হাজীগঞ্জে সিগারেটকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত

ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম

চট্টগ্রামে জোড়া খুন, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীকে আসামি করে মামলা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৭

হাসপাতালে ভর্তি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, আছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে

ইরান হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে আকাশসীমা দেবে না গালফ দেশগুলো

চাটমোহরে জমি নিয়ে বিরোধ, দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০