১৮ শিশুসহ শহীদ ৩৩
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪০ এএম

গাজার তুহফা এলাকায় তিনটি স্কুলে দখলদার ইসরাইলের পিশাচবাহিনীর হামলায় ১৮ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার হামলাগুলো হয় বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় থেকে জানানো হয়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু দার আল-আরকাম স্কুলে হামলায় ১৮ শিশুসহ ২৯ নিহত ও শতাধিক আহত হন। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। ওই স্কুলটিতে কমপক্ষে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
সূত্র জানিয়েছে, অন্য চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ফাহাদ স্কুলে হামলার ঘটনায়। তুহফা এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলটিও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতো। তুহফা এলাকায় হামলার শিকার অপর স্কুলটির নাম শাবান আলরাইয়েস স্কুল। তবে সেখানে কতজন লোক হতাহত হয়েছেন তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজার সিটিতে হামাসের একটি ‘কমান্ড সেন্টারে’ হামলা চালিয়েছে। তবে তারা এটা স্পষ্ট করেনি যে, এই স্কুলগুলোর সঙ্গে ওই হামলার সম্পর্ক কী।
ফিলিস্তিনপন্থীদের বহিষ্কার করছে জার্মানি : জার্মান কর্তৃপক্ষ এখন ফিলিস্তিনপন্থী কর্মকা-ে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশী নাগরিকদের বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিচ্ছে। জানা গেছে যে, গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদ করায় তিনজন ইইউ নাগরিক এবং একজন মার্কিন নাগরিককে জার্মানি থেকে নির্বাসিত করা হবে। চারজনের কেউই কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়নি, তবুও কর্তৃপক্ষ তাদের কেবল দেশ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে শান্তির তীব্র লঙ্ঘন এবং পুলিশ গ্রেপ্তারে বাধা। গত বছরের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে প্রবেশ করা এবং সম্ভাব্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন জিনিসপত্র দিয়ে লোকেদের হুমকি দেয়া। জার্মান কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের আচরণের একটি বিস্তৃত তালিকা উদ্ধৃত করেছেন: ‘মুক্ত গাজা’ এবং ‘নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত, ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে’ এর মতো স্লোগান দেয়া, রাস্তা অবরোধে যোগ দেয়া (জলবায়ু কর্মীদের দ্বারা প্রায়শই ব্যবহৃত একটি কৌশল), এবং একজন পুলিশ অফিসারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলা।
চারজনের বিরুদ্ধে - প্রমাণ ছাড়াই - হামাসকে সমর্থন করার এবং ইহুদি-বিরোধী বা ইসরাইল-বিরোধী স্লোগান দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। নির্বাসন আদেশের তিনটিতে স্পষ্টভাবে ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য জার্মানির জাতীয় প্রতিশ্রুতি, এর তথাকথিত রাষ্ট্রের যুক্তিকে ন্যায্যতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জার্মানিতে এ ধরণের নিপীড়ন নতুন নয়। আইনজীবী আলেকজান্ডার গোর্স্কি বলেছেন যে, তিনি একই ধরণের মামলা পরিচালনা করেছেন যেখানে আরব বা ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন ব্যবহার করা হয়েছিল, কারণ তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দিয়েছেন, মন্তব্য করেছেন। এমনকি যারা শুধ ‘লাইক’ দিয়েছেন তারাও নিস্তার পাননি।
সিরিয়ায় বিমান হামলার মধ্যে ইসরাইলের ভয়াবহ স্থল আক্রমণ শুরু : সিরিয়ায় বিমান হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল। দামেস্কের নতুন ইসলামিক শাসকগোষ্ঠীকে সতর্ক করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করছে তেল আবিব। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ওই একই বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেছে, সিরিয়াকে আশ্রিত রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে তুরস্ক। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এক অভিযান পরিচালনার সময় একাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এসময় তাদের পালটা হামলায় একাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা বলেছে, ইসরাইলি হামলায় ওই এলাকায় নয় জন নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলি হামলাকে ‘অযৌক্তিক উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রয়াস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আগ্রাসন বন্ধের জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
ইসরাইলি হামলার পর বৃহস্পতিবার তাদের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে তুরস্ক। তাদের অভিযোগ, সিরিয়ার স্থিতিশীলতা প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত করছে ইসরাইল এবং তাদের উচিত অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করা। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ইসরাইলকে বৃহত্তম হুমকি অভিহিত করে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইল এক কৌশলগত অস্থিতিশীল শক্তিতে পরিণত হয়েছে যারা কেবল বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এবং সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেয়। সূত্র : আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গ্রিন রেলওয়ের জন্য ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার প্রকল্প

ভোলা সমিতি ঢাকা’র নতুন কমিটি

রানাপ্লাজায় রেশমা উদ্ধার ছিলো সাজানো নাটক : এম সাখাওয়াত হোসেন

টিসিবির ভুয়া কার্ড বাতিল করে স্মার্টকার্ড চালু করা হবে : না.গঞ্জে খাদ্য উপদেষ্টা

কাশ্মীরের ২৬ হিন্দু পর্যটককে দিল্লি সরকার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ

গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ৬ দিন পর মারা গেলো ১ বছরের আয়ান

ঢাবির প্রায় ৩০০ খ্যাতিমান গবেষককে সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ব্যাংকের অভাবে হুন্ডির মাধ্যমে আসছে রেমিট্যান্স ইরাকের শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি

কদম রসূল সেতুর এপ্রোচ সড়কের মুখটি পুনঃনির্ধারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষা সংস্কার ও অসংগতি নিরসনের দাবি অভিভাবক ঐক্য ফোরামের

বরিশাল বিভাগ সমিতির মানববন্ধন

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন চায় না : মেজর হাফিজ

মেট্রোরেলের আরো ৫ স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থা

এনএসডিএ ও বাউবির সমঝোতা চুক্তি সই

অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে সমস্যা তৈরি হয় : ড. ফরিদুজ্জামান

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম রাজপ্রাসাদে পেলেন রাজকীয় সম্মান

কাতার আমিরের দেওয়া এয়ার এম্বুলেন্সে ঢাকা আসবেন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল

চট্টগ্রামের আল্লামা সুলতান যওক নদভী’র দাফন সম্পন্ন

সাংবাদিকদের সহযোগিতা আমার কর্মপথকে সহজ করেছে : বুড়িচংয়ের বিদায়ী ইউএনও