ফুরিয়ে আসছে খাবার
১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ এএম

ইসরাইল ছয় সপ্তাহ ধরে গাজা ভূখ-ের ২৩ লাখ বাসিন্দার সব সরবরাহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে রেখেছে। বোমাগুলো এখনও রেহাব আখরাস ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ কেড়ে নেয়নি, কিন্তু মার্চের শুরু থেকে গাজার যে চেকপয়েন্টগুলো ইসরাইল বন্ধ করে রেখেছে সেগুলো দ্রুত না খুললে তারা নিশ্চিতভাবে অনাহারে মারা যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইসরাইল ছয় সপ্তাহ ধরে গাজা ভূখ-ের ২৩ লাখ বাসিন্দার সব সরবরাহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে রেখেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে যুদ্ধবিরতি চলমান থাকা অবস্থায় গাজায় যে খাদ্য মজুদ গড়ে তোলা হয়েছিল তা শেষের পথে। জরুরি খাবার বিতরণ শেষ হতে চলেছে, বেকারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, বাজারে কোনো পণ্য নেই। রয়টার্স জানিয়েছে, খান ইউনিস শহর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আখরাস (৬৪) এখন প্লাস্টিকের শিটে তৈরি জনাকীর্ণ একটি শিবিরে বসবাস করছেন। সেখানে একটি হাঁড়িতে মটরশুঁটি সিদ্ধ করছিলেন তিনি। অবশিষ্ট খাবার যা কিছু ছিল সবই এখন ওই হাঁড়িতে। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবারে ১৩ জন, এক হাঁড়ি মটরশুঁটিতে আমাদের কতোটা হবে? “আমরা ঘুমাতে গেছি ও জেগেছি যুদ্ধ ও বিমান হামলার মধ্যে, এরমধ্যেও বেঁচে আছি। কিন্তু আনাহারে বাঁচতে পারবো না, আমরাও পারবো না আমাদের শিশুগুলোও পারবে না।” নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের উত্তরে একটি উন্মুক্ত জরুরি রান্নাঘরের সামনে গরম ভাতের জন্য কয়েকশ ফিলিস্তিনি লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ছোট শিশুরা লাইনের সামনে জড়ো হয়ে তাদের পাত্রগুলো দোলাচ্ছে, বাড়ি নেওয়ার জন্য কিছু দিতে বলছে তারা। ত্রাণ সংস্থাগুলো এসব জরুরি খাবার বিতরণ করছে। তারা জানিয়েছে, আরও খাবার আনতে না পারলে কয়েকদিনের মধ্যেই এ উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী গাজা ভূখ-ের ২৫টি বেকারিকে রুটি সরবরাহ করতে ব্যবহার করতো। এই সবগুলো বেকারিই এখন বন্ধ। রেশন হ্রাস করতে এই সংস্থাটিও শিগগিরই খাবারের পার্সেল বিতরণ স্থগিত করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের ত্রাণের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, “সমস্ত প্রাথমিক সরবরাহ শেষ হয়ে আসছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজা ভূখ-ে অবরোধ আরোপ করার পর থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পণ্যের দাম দ্রুতগতিতে বেড়েছে। “এর অর্থ বাচ্চারা, শিশুরা ক্ষুধা নিয়েই ঘুমাতে যাচ্ছে। মৌলিক সরবরাহগুলো ছাড়া দিন কাটিয়ে গাজা ইঞ্চি ইঞ্চি করে অনেক অনেক গভীর ক্ষুধার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” গাজার বাজারগুলোতে এখন সামান্য খাদ্যপণ্য অবশিষ্ট আছে। সেগুলো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ২৫ কেজির আটার এক বস্তার দাম আগে ছিল ৬ ডলার আর এখন এর দশগুণ বেড়ে ৬০ ডলার হয়ে গেছে। এক লিটার রান্নার তেলের দাম ছিল দেড় ডলার, এখন যদি আপনি খুঁজে পান কিনতে ১০ ডলার খরচ করতে হবে। আর ভাগ্যবান কেউ হয়তো ৫ ডলার দিয়ে কখনো এক কৌটা সার্ডিন মাছ পেয়ে যেতে পারে। আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গ্রিন রেলওয়ের জন্য ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার প্রকল্প

ভোলা সমিতি ঢাকা’র নতুন কমিটি

রানাপ্লাজায় রেশমা উদ্ধার ছিলো সাজানো নাটক : এম সাখাওয়াত হোসেন

টিসিবির ভুয়া কার্ড বাতিল করে স্মার্টকার্ড চালু করা হবে : না.গঞ্জে খাদ্য উপদেষ্টা

কাশ্মীরের ২৬ হিন্দু পর্যটককে দিল্লি সরকার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ

গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ৬ দিন পর মারা গেলো ১ বছরের আয়ান

ঢাবির প্রায় ৩০০ খ্যাতিমান গবেষককে সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ব্যাংকের অভাবে হুন্ডির মাধ্যমে আসছে রেমিট্যান্স ইরাকের শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি

কদম রসূল সেতুর এপ্রোচ সড়কের মুখটি পুনঃনির্ধারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষা সংস্কার ও অসংগতি নিরসনের দাবি অভিভাবক ঐক্য ফোরামের

বরিশাল বিভাগ সমিতির মানববন্ধন

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন চায় না : মেজর হাফিজ

মেট্রোরেলের আরো ৫ স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থা

এনএসডিএ ও বাউবির সমঝোতা চুক্তি সই

অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে সমস্যা তৈরি হয় : ড. ফরিদুজ্জামান

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম রাজপ্রাসাদে পেলেন রাজকীয় সম্মান

কাতার আমিরের দেওয়া এয়ার এম্বুলেন্সে ঢাকা আসবেন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল

চট্টগ্রামের আল্লামা সুলতান যওক নদভী’র দাফন সম্পন্ন

সাংবাদিকদের সহযোগিতা আমার কর্মপথকে সহজ করেছে : বুড়িচংয়ের বিদায়ী ইউএনও