ইন্দোনেশিয়ায় জোয়ারের পানি ঠেকাতে ম্যানগ্রোভ গাছেই ভরসা
২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৪ এএম

ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভা প্রদেশের উপকূলবর্তী গ্রাম রেজোসারি সেনিক। জাভা দ্বীপের উত্তর উপকূলে অবস্থিত গ্রামটি একসময় ছিল সবুজে ঘেরা। ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভা প্রদেশের উপকূলবর্তী গ্রাম রেজোসারি সেনিক। জাভা দ্বীপের উত্তর উপকূলে অবস্থিত গ্রামটি একসময় ছিল সবুজে ঘেরা। ছিল ধানখেত ও প্রাণবন্ত জনপদ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্তমানে সাগরের নোনা পানিতে তলিয়ে গেছে এ অঞ্চল। গ্রামটিতে একমাত্র বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী গৃহবধূ পাশিজাহ ও তার পরিবার। দুই দশক ধরে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। গত কয়েক বছরে রেজোসারি সেনিক গ্রামটির সব বাসিন্দা অন্যত্র চলে গেলেও পাশিজাহ ও তার পরিবার রয়ে গেছে। ৩৫ বছর ধরে একই বাড়িতে থাকছেন তারা। তার দৃঢ় অবস্থান—এ জায়গা ছেড়ে যাবেন না। ‘এই বাড়ির প্রতি ভালোবাসা আমার এখনো আগের মতোই,’ বলেন পাশিজাহ। তার ঘরের চারপাশে এখন শুধুই সমুদ্রের নোনা পানি। ঘরের মেঝে উঁচু করে কোনোভাবে বসবাসের উপযোগী করে রাখা হয়েছে। আশপাশে নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় নেই। সবচেয়ে কাছের স্থলভূমি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। আর নিকটতম শহর দেমাক ১৯ কিলোমিটার দূরে। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু সংবেদনশীল দেশ। হাজারো দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটির উপকূলরেখা প্রায় ৮১ হাজার কিলোমিটার। সরকারি তথ্য বলছে, ১৯৯২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশটির উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বছরে গড়ে ৪ দশমিক ২৫ মিলিমিটার হারে বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূবিজ্ঞান সংস্থার কর্মকর্তা কাদারসাহ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ছোট ছোট অনেক দ্বীপ এরই মধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে ভূমিধস। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা রাজধানী জাকার্তায়, যেখানে প্রায় এক কোটি মানুষ বাস করে। এ সংকট মোকাবেলায় ইন্দোনেশিয়া সরকার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রপ্রাচীর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটি বান্টেন থেকে পূর্ব জাভা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এদিকে রেজোসারি সেনিক গ্রামের বাসিন্দা পাশিজাহ সমুদ্রের পানি থেকে বাঁচতে প্রকৃতির সাহায্য নিচ্ছেন। গত দুই দশকে তিনি প্রতি বছর গড়ে ১৫ হাজার করে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বন্যার পানি ধীরে ধীরে আসে, একসঙ্গে না। আমি বুঝেছি যে ম্যানগ্রোভই পারে ঢেউ আর স্রোত থেকে আমাদের রক্ষা করতে।’ প্রতিদিনই নীল রঙের প্লাস্টিক ড্রামের তৈরি একটি ছোট নৌকা নিয়ে গাছের যতœ নিতে পানিতে নামেন পাশিজাহ। গাছগুলো এখন তার ঘরকে ঢেউ ও বাতাসের ধাক্কা থেকে অনেকটাই সুরক্ষা দেয়। তার ছেলেরা মাছ ধরে। সেগুলো বিক্রি করেই চলে পরিবারের খরচ। ‘একা থাকা নিয়ে আর ভাবি না,’ বলেন পাশিজাহ। ‘আমরা রয়ে গেছি, কারণ এ জায়গা ছেড়ে যাওয়া আমাদের কাছে হেরে যাওয়ার মতো।’ রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প, দুর্বিষহ দিন কাটছে কারিগরদের

চিরিরবন্দরে দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা
জামায়াত কেন পূর্বের অবস্থার পরিবর্তন করল? যা বললেন সাকিব

রাঙামাটির রাবিপ্রবি’তে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এন্ড বায়োসায়েন্স কার্নিভাল বিষয়ে মিট দ্যা প্রেস

চ্যাটভিত্তিক সিভি বিল্ডার চালু করল আমি প্রবাসী

ভারতের পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদপানে ১৪ জনের মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ

বোয়ালখালীতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ যুবক আটক

দাকোপ উপজেলা ও চালনা পৌরসভা বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত

আযম খানের বিরুদ্ধে কটুক্তি করায় সখিপুরে বিক্ষোভ মিছিল

মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু আসিয়া ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

মোরেলগঞ্জ উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিসে বিশেষ সেবা কার্যক্রম শুরু

কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতির পরও থামেনি সংঘাত, ভারতীয় অভিযানে নিহত ৩ জন

আইটিএফ একক শিরোপা জয়ী প্রথম ইরানি ইয়াজদানি

সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার আরও ১ হাজার ৬৪৭

‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে রিট খারিজের রায় স্থগিত

ধার নয়, বাস্তবভিত্তিক বাজেট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি অর্থ উপদেষ্টার

পাকিস্তানী এক নারীর ভয়েই কাঁপলো মোদির বিমান বাহিনী!

ভারতকে কড়া বার্তা পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

আশাশুনিতে ট্রলির সাথে বাইকের সংঘর্ষে নিহত ১জন

ঘাটাইলে গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা