দানবীয় উদ্গীরণ ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপি থেকে! ৮ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ
১২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪০ পিএম
ধূসর ধোঁয়া যেন গ্রাস করছে নীল আকাশ। যত দূর দেখা যাচ্ছে, ততদূরেই যেন ছড়িয়ে পড়ছে সেই দানবীয় কুণ্ডলীকৃত ধোঁয়া। এ ছবি ইন্দোনেশিয়ার। সেখানের মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরি থেকে সদ্য এই উদ্গিরণের ছবি উঠে এসেছে।
ভয়াবহ এই দৃশ্য একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে উঠে এসেছে। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। দেখা গিয়েছে, ঘটনায় ১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে লাভা। আশপাশের বহু স্থানীয় গ্রামে আগ্নেয়গিরির ছাই ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনা কয়েকদিন আগের। স্থানীয় সময় দুপুরের দিক থেকে এমন প্রকাণ্ড ধোঁয়া কুণ্ডলী নিয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ইন্দোনেশিয়ার এ আগ্নেয়গিরি।
স্থানীয় আউটলেট কমপাস টিভিতে সম্প্রচারিত চিত্রগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী জোগকার্তার কাছে জাভা দ্বীপে অবস্থিত আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি একটি গ্রামে ছাই-ঢাকা বাড়ি এবং রাস্তাঘাট দেখা যায়। সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, মেরাপি আগ্নেয়গিরি মানমন্দির অনুমান করেছে যে ছাই মেঘ চূড়া থেকে ৩ হাজার মিটার (৯,৬০০ ফুট) ওপরে পৌঁছেছে। অগ্ন্যুৎপাতের পর কর্তৃপক্ষ ৭ কি.মি. দূর পর্যন্ত একটি নিরাপত্তা অঞ্চল স্থাপন করেছে। মাউন্ট মেরাপি অগ্ন্যুৎপাত থেকে সম্ভাব্য বিপদের পূর্বাভাসে জনসাধারণকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যে কোনো কার্যক্রম বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগ্নেয়গিরিটি ২০২০ সাল থেকে নতুন করে সক্রিয় হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা।
মুহারি বলেন, আশপাশের বাসিন্দাদের ছাই থেকে এবং কাদাপ্রবাহের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যদি আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি বৃষ্টি হয়। মেরাপির পর্যবেক্ষণ পোস্টের একজন কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি অন্তত আটটি গ্রাম আগ্নেয়গিরির ছাই দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরাপি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে একটি। এটির উচ্চতা দুই হাজার ৯৬৩ মিটার। প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে মেরাপির অবস্থান। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির সংখ্যা বেশি। এটিতে সবশেষ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ২০১০ সালে। যাতে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে মাউন্ট সেমেরুতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়। যাতে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়। আগ্নেয়গিরিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬৭৬ মিটার ওপরে অবস্থিত। মাউন্ট সেমেরু ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি। ২০১০ সালে আগ্নেয়গিরির শেষ বড় অগ্ন্যুৎপাতে ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা যায় এবং কর্তৃপক্ষ প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। সূত্র: রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
একজনের সুদের টাকার ঘটনায় অন্যজনকে হত্যা
ব্যাংকে ডলারের কোনো সংকট নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বই পায়নি চার লাখ শিক্ষার্থী
‘ফাজলামি পাইছেন, ২ তালায় বলে ৪ তালায় তুলছেন’
১৭ দিন ধরে চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে বন্ধ ফেরি চলাচল
মেসি-সুয়ারেসের সাথে আবার এক হচ্ছেন নেইমার
হাসপাতালের ডিসপ্লেতে আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে
ধামরাইয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
সংবিধান কারও বাপের না: হাসনাত আবদুল্লাহ
ঝিকরগাছায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে লাখ টাকা জরিমানা
ওয়াকারুর সাথে যুক্ত হলেন আফরান নিশো
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের তাণ্ডব , জরুরি অবস্থা ঘোষণা
সচিবালয় গেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, তদন্তে কমিটি
সহদেবপুর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৫টি ঘর পুড়ে ছাই
মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ব্যবহার করতে পারবেন ৪৪ টাকা
অস্কার প্রতিযোগিতায় শক্ত অবস্থানে বাংলা ছবি 'পুতুল'
ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক
মার্কিন কংগ্রেসে অভিবাসন আইন নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক, নতুন বিল পাশ
মির্জাগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
দেশীয় ফ্রিজ এসি-মোটরসাইকেল শিল্পে কর বৃদ্ধি, বাড়তে পারে দাম