মিয়ানমারে সেনার গুলিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ নিহত ২৮
১৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৬ পিএম
মিয়ানমারে একটি বৌদ্ধ মঠে আশ্রয় নেয়া অন্তত ২৮ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে যেসব জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী তার একটি এ তথ্য জানিয়েছেন।
কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ)-এর পোস্ট করা একটি ভিডিওতে কিছু মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে, দৃশ্যত যাদের দেহে গুলির ক্ষত রয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কিছু লোকের গায়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কমলা পোশাক রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শান প্রদেশের নাম নিন গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, দু’বছর আগে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে সে দেশে সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াই চলছে, এবং ইদানীং তার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানী নেপিডো এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তের মধ্যবর্তী এই অঞ্চলে কিছু মারাত্মক লড়াই হয়েছে।
গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটের কাছাকাছি সময়ে জঙ্গি বিমান এবং কামান দিয়ে গোলাবর্ষণের পর সেনাবাহিনী ঐ গ্রামে প্রবেশ করে এবং গ্রামের একটি মঠের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মানুষজনকে হত্যা করে বলে কেএনডিএফ জানিয়েছে। ঐ গোষ্ঠীর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ২১টি মৃতদেহ মঠের ভেতরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনের গায়ে রয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কমলা পোশাক। দেহগুলোতে একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
মঠের দেয়াল বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় একটি পত্রিকা কান্তারওয়াদ্দি টাইমস কেএনডিএফ-এর একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘মনে হচ্ছে যে (সেনাবাহিনী) তাদের মঠের সামনে লাইন করে দাঁড় করায় এবং সন্ন্যাসীসহ সবাইকে নির্মমভাবে গুলি করে মারে।’
কেএনডিএফ বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা ছোট ঐ গ্রামটির কাছাকাছি আরেক জায়গা থেকে বাকি সাতজনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এ ধরনের ঘটনার সত্যতা যাচাই করা কঠিন, তবে মিয়ানমারের এই অঞ্চলে, যেখানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ দেখা গেছে, সেখানে নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে এমন বর্বর আক্রমণ নতুন ঘটনা নয়। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক