আর্জেন্টিনায় তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি
১৬ মার্চ ২০২৩, ১১:০৫ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:০৫ এএম
আর্জেন্টিনায় মূল্যস্ফীতি ১০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯১ সালের পর এত বেশি মাত্রার মূল্যস্ফীতি দেখেনি এ দেশ। দেশটির সর্বশেষ ভোক্তামূল্য সূচকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড সেন্সাস (আইএনডিইসি) ফেব্রুয়ারি মাসের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে আর্জেন্টিনার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ১০২ দশমিক ৫ শতাংশ চিহ্নিত হয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় আইএনডিইসি। সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শুধু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশটির খাদ্য ও পানীয় পণ্যের ওপর।
তাছাড়া, দেশটির খাদ্যসংক্রান্ত খরচ ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ডিম, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের অত্যধিক মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছে আইএনডিইসি। এদিকে, গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা ও উত্তর কোরিয়েন্ডেস প্রদেশে ভয়ংকর দাবানলে কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি এ মূল্যস্ফীতিকে আরো উসকে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পাশাপাশি ভুট্টা, গম ও সয়াবিনের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক দেশ আর্জেন্টিনা। কিন্তু পাম্পাস নামে পরিচিত উর্বর তৃণভূমিতে কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ায় জাতীয় পর্যায়ে শস্য উৎপাদনের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
স্থানীয় শিল্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রত্যাশিত কৃষি ফলন এতটাই কমেছে, যা চলতি শতকের সর্বনিম্ন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অত্যধিক তাপমাত্রায় ২০২২ সালের মে থেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আর্জেন্টিনার কৃষি। দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ আর্জেন্টিনা। কিন্তু গত শতাব্দী থেকেই দেশটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ১৯৮০-এর দশকে সৃষ্ট ঋণসংকটের ফলে আর্জেন্টিনায় চরম ও দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছিল। তবে এ সংকট সবচেয়ে বেশি ঘনীভূত হয় ১৯৮৯ সালে। ক্ষেত্রবিশেষে সে সময় দেশটির মূল্যস্ফীতি ৩ হাজার শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এ সংকটের পাশাপাশি আর্জেন্টিনাকে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ঋণের সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছে। ২০১৮ সালে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ নেয়, যা খোদ আইএমএফের ইতিহাসেও সবচেয়ে বড় ঋণ প্যাকেজ।
২০১৮ সাল থেকে আর্জেন্টিনায় মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে ও দেশটি তার ঋণ পরিশোধ পরিকল্পনার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে শুরু করে। ২০১৮ সালের ঋণ পরিশোধ পরিকল্পনা প্রতিস্থাপনের জন্য ২০২২ সালে আইএমএফর সঙ্গে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে দেশটি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের বাসিন্দা আইরিন দেবিতা বলেন, আমাদের আর কিছুই নেই। চলার মতো পর্যাপ্ত টাকাও নেই। জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতেও হিমশিম খাচ্ছি। সূত্র : রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রভিটা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ স্ত্রী-ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভারতীয় উৎসবে অংশ নেবে ছয় ইরানি চলচ্চিত্র
বাগেরহাটে বিএনপির দুই গ্রপের সংঘর্ষ, ৮ বাড়ীতে আগ্নিসংযোগ, আহত ২০
হাসিনার পরিবারকে প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে
অভিনেত্রীর নেকলেস চুরি, চোর কি তবে রং মিস্ত্রী?
ভিভো এক্স২০০ এর নজর কাড়া পাঁচ দিক
ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের মামলায় আসামী অন্তর, ষড়যন্ত্র অব্যাহত
সিলেট কোম্পানীগঞ্জে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ
সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
মালয়াম অভিনেত্রীকে যৌন হয়রানি, আটক স্বর্ণ ব্যবসায়ী
‘উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার’বিএনপি শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান
কেরানীগঞ্জের অস্থায়ী আদালতে চলবে বিডিআর বিদ্রোহ মামলা
বিশ্বাসের ঘরে ষড়যন্ত্র চলছে: ফারুক
ট্রাম্পের ছেলে ডনাল্ড জুনিয়রের গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা
সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
বিয়ের পূর্বে স্ত্রীর অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকা প্রসঙ্গে।
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
টিম কম্বিনেশনের জন্য দলের বাইরে ছিলাম: রিশাদ
ফুলপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ফুটবল প্রতিযোগিতায় রুপসী বিজয়ী