জাপানে দ্রুত বাড়ছে মুসলিমদের সংখ্যা
২৩ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম

জাপানে বেশিরভাগ মুসলিম তিনটি মেট্রোপলিটন এলাকায় বাস করে। যেমন গ্রেটার টোকিও এরিয়া, চুকিপ মেট্রোপলিটন এরিয়া এবং কিনকি অঞ্চলে। সমগ্র জাপানে মুসলমানদের নেটওয়ার্ক এখনও খুবই সীমিত।
এশিয়ার দেশ জাপানে মুসলিমদের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ইসলাম ধর্মের মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এদের মধ্যে যেমন বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া মুসলিমরা রয়েছেন, তেমন জাপানিরাও ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করছেন।
দ্য ইকোনোমিস্ট এই বিষয়ে বিস্তারিত খবর প্রকাশ করে। দুই বছর প্রকাশ করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানে মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ সরকার আরও বেশি বিদেশি কর্মী এবং ছাত্রদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছে।
ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটির তানাদা হিরোফুমি অনুসারে, জাপানে বসবাসকারী মুসলিমদের সংখ্যা এক দশকে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। ২০১৯ সালে সেটি বেড়ে হয় ২ লাখ ৩০ হাজার। এদের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার জাপানি ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
জাপানের বড় দ্বীপগুলোর সবচেয়ে দক্ষিণে কিউশুর মেকা বেপ্পুতে রয়েছে একটি চারতলা মসজিদ। প্রতি শুক্রবার শত শত মুসলিম নারী-পুরুষ সেখানে হাজির হন জুমার নামাজ আদায় করতে। এদের মধ্যে অনেক ছাত্র যারা রিটসুমেইকান এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি (এপু) এর কাছাকাছি পড়াশোনা করেন এবং শহরের আশেপাশের হোটেলগুলোতে খণ্ডকালীন কাজ করেন। অন্যরা মাছ ধরার নৌকা এবং শিপইয়ার্ডে বিভিন্ন কাজ করেন।
এপুর একজন অধ্যাপক এবং বেপ্পু মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) প্রধান মুহাম্মদ তাহির আব্বাস খান জানান, জাপানে ১১০টিরও বেশি মসজিদ রয়েছে।
মুহাম্মদ তাহির আব্বাস জানান, যখন তিনি ২০০১ সালে স্নাতকের ছাত্র হিসেবে পাকিস্তান থেকে জাপানে যান তখন দেশটিতে মাত্র ২৪টি মসজদি ছিল এবং কিউশুতে একটি মসজিদও ছিল না।
জাপান অতিতে মুসলমানদের তাদের দেশে স্বাগত জানায়নি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ভিন্ন ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার প্রতি আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। জাপানের মুসলমানরা বিভিন্ন জাতীয়, জাতিগত, সাংস্কৃতিক এবং জীবনধারার পটভূমি থেকে গেছে।
জাপানে মুসলিম জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, জাপানে প্রায় অর্ধেক সেটেলড মুসলিম বিবাহিত। এটি ইঙ্গিত করে যে জাপানে ভবিষ্যতে আরও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের মুসলমান থাকবে।
মুসলমানদের এই নতুন প্রজন্ম বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পটভূমিতে উন্মোচিত হবে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী জাপানি সমাজের সেতুবন্ধনের চাবিকাঠি হবে।
দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। জাপানে মুসলিম জনসংখ্যা কেন্দ্রীভূত হওয়ার দ্বিতীয় বড় কারণ হল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। ইরান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ প্রভৃতি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে জাপানে যায়।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রাঙা সকালে শাবনাজের না বলা কথা

জে-হোপের সুইট ড্রিমস

ঈদে চ্যানেল অইতে ৭ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার

বিশাল আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে জেমসের কনসার্ট

অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্ব মুক্তি পাবে ১৯ ডিসেম্বর

মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে রুল

কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরির চেষ্টা করছে : মির্জা আব্বাস

জুলাই-আগস্টে ঢাবি ক্যাম্পাসে সহিংস ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ভিসির কাছে হস্তান্তর

বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাক্বওয়ার শিক্ষা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে Ñজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন উপসচিব রেজাউল করিম

চার্চের শিক্ষক সুব্রত বৈদ্য হত্যায় সব আসামি খালাস

জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে কর্মবিরতি

আছিয়ার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাজনক : ইউট্যাব

সংস্কার সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ দল, ১৬ দল সময় চেয়েছে

ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সুপারভাইজার সমিতি গঠিত

রামপালে অবাধে চলছে ঘের দখল ও চাঁদাবাজি

মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার

সুন্দরবনের কাঠসহ ১০ চোরাকারবারী আটক

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

নোবিপ্রবিতে ৮০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন উদ্বোধন