চীনে ঐতিহাসিক সফরে তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট
২৭ মার্চ ২০২৩, ০২:০০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৫ পিএম
তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ ১২ দিনের সফরে সোমবার চীনে গিয়েছেন। তাইওয়ান তাদের ১৪তম কূটনৈতিক অংশীদারকে চীনের কাছে হারানোর একদিন পরে তিনি এ সফরে গেলেন।
যদিও সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য এটি একটি ব্যক্তিগত সফর, তবে এটি রাজনৈতিক অর্থেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইং-জিউয়ের নীতিগুলো তাইওয়ান এবং বেইজিংকে তাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে নিয়ে এসেছিল, কিন্তু প্রধান ভূখণ্ডের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের কারণে তার পদত্যাগের পরে সেই সম্পর্কে ছায়া পড়ে এবং তার উত্তরসূরি গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপের স্বায়ত্তশাসন রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেছেন যা চীন তার নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ইং-জিউ এ সফরটি করতে যাচ্ছেন। বেইজিং তাইওয়ানকে চাপে রাখতে প্রচারণা চালাচ্ছে, তার কূটনৈতিক মিত্রদের নিজেদের দিকে টানছে এবং প্রায় প্রতিদিনই দ্বীপের দিকে সামরিক ফাইটার জেট পাঠাচ্ছে। রোববার, হন্ডুরাস তাইওয়ানকে ত্যাগ করে চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এর ফলে আর মাত্র ১৩টি দেশ বাকি থাকল যারা তাইওয়ানকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
বিরোধী জাতীয়তাবাদী পার্টির (কুওমিংটাং) সদস্য ইং-জিউ নিকটবর্তী নানজিংয়ে তার সফর শুরু করার আগে সাংহাইয়ে অবতরণ করবেন। তিনি ২৭ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মূল ভূখণ্ড ভ্রমণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, উহান, চাংশা এবং অন্যান্য শহরগুলোতে বিরতি দেবেন। তিনি তাইওয়ানের কলেজ ছাত্রদের সাথে নিয়ে গিয়েছেন সাংহাইয়ের ফুদান ইউনিভার্সিটি এবং চাংশার হুনান ইউনিভার্সিটির সহপাঠীদের সাথে দেখা করার জন্য।
তার সফর তাইওয়ানে খুব বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করেনি, যেখানে জনসাধারণ কুওমিংটাং রাজনীতিবিদদের চীন সফর দেখতে অভ্যস্ত। তবে এর সমালোচনা করেছেন কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে, ঐক্যপন্থী শিবিরের একটি ছোট দলও তাদের সমর্থন জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিল। তারা চিৎকার করে বলেছিল, ‘প্রান্ত-প্রণালী সম্পর্ক বসন্তে ফোটে ফুলের মতো এবং উভয় পক্ষই একটি পরিবার।’
ইং-জিউ বেইজিং যাবেন না, তবে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তিনি ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেছিলেন, যখন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। চীনের গৃহযুদ্ধের সময় ১৯৪৯ সালে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ান বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর উভয় পক্ষের নেতাদের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম বৈঠক, তবে এটিকে সারগর্ভের চেয়ে বেশি প্রতীকী বলে মনে করা হয়েছিল। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসছে?