মেক্সিকোয় বন্দি শিবিরে আগুনে ৪০ জনের মৃত্যু, শরণার্থীদের দায়ী করলেন প্রেসিডেন্ট
২৯ মার্চ ২০২৩, ০১:৪২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৫ পিএম
মেক্সিকো সীমান্তবর্তী শহর শিউড্যাড হুয়ারেজে শরণার্থীদের জন্য তৈরি এক বন্দি শিবিরে ভয়াবহ আগুন প্রাণ কাড়ল ৪০ জনের। এ ঘটনার জন্য ওই শরণার্থীরাই দায়ী বলে দাবি করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, আমেরিকা সীমান্তবর্তী মেক্সিকান শহর শিউড্যাড হুয়ারেজের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউট-এ সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ ওই আগুন লাগে। সে সময়ে ওই শিবিরে মোট ৬৮ জন শরণার্থী ছিলেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন শহরের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। এ অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৯ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আমেরিকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টায় মেক্সিকোর ওই সীমান্ত শহরে ভিড় জমানো ওই বন্দিদের মধ্যে এত জনের মৃত্যু সাড়া ফেলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
শিবির কর্তৃপক্ষের তরফে মৃতের সংখ্যা ৪০ দাবি করা হলেও আদতে তা আরও বেশি বলেই দাবি করছে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন। ওই শিবিরের বাইরে ব্যাগ বন্দি দেহের সংখ্যা সেই প্রমাণ আরও জোরালো করছে বলেই মত তাদের। মৃতদের পরিচয় জানতে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলির সঙ্গে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশই ভেনেজুয়েলার নাগরিক।
কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউটের তরফে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, আগুন লাগার ঠিক আগে ওই শিবিরে একটি অশান্তির সূচনা হয়েছিল বলে জেনেছে তারা। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল। পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরাও।
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর জানিয়েছেন, রাত ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অভিবাসীরা জানতে পেরেছিল যে তাদের নিজ দেশে নির্বাসিত করা হবে — এবং প্রতিবাদে আগুন জ্বালানো হয়। তিনি বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার। ‘তারা কখনই কল্পনা করেনি যে এটি এই ভয়ানক ট্র্যাজেডির কারণ হবে,’ লোপেজ ওব্রাডর বলেছিলেন।
আমেরিকান সীমান্ত প্রদেশ টেক্সাসের এল পাসোর কাছে অবস্থিত বলে মেক্সিকোর এই শহরে প্রতি বছর ভিড় জমান বহু মানুষ। তাদের সকলের চোখে একটাই স্বপ্ন—আমেরিকায় ঠাঁই পাওয়া। যদিও কড়া অভিবাসন নীতির ফাঁদে পড়ে তাদের অধিকাংশের স্বপ্নেই দাঁড়ি পড়ে অকালেই। ঠিকানা হয় এই ধরনের বন্দি শিবিরগুলিতে। ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গ্যানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’ বা আইওএম-এর প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকায় ঢোকার স্বপ্নপূরণ করতে আসা কমপক্ষে ৭৬৬১ জন মানুষ নয় প্রাণ হারিয়েছেন বা উধাও হয়ে গিয়েছেন। আর বিশেষত দুর্ঘটনা বা অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পাচার হয়ে আসতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৮৮ জন। সূত্র: লস এঞ্জেলস টাইমস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইরানে ইসরাইলের হামলা নিয়ে বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া
বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানাজার কে চট্টগ্রামে বদলী
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইসিসি, জরুরি বৈঠক তলব
জার্মানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জেলেনস্কির
দুবাই পানিতে তলিয়ে যাবার কারণ ক্লাউড সিডিং?
আনোয়ারায় হিট স্ট্রোকে শাহজাদা ছালেহ আহমদ (৭৪) শাহর মৃত্যু
সিলেটের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ৬০ কি:মি বেগে বজ্র বৃষ্টি সহ দমকা হাওয়া !
সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে কৃষকদের নিয়ে ধান কাটলেন কৃষিমন্ত্রী
ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ আরব দেশগুলোর
বিমানবন্দর এলাকায় বাসের ধাক্কায় এক প্রকৌশলী নিহত
নিউইয়র্কে সোনালী এক্সচেঞ্জের গ্রাহক সমাবেশ ও ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
রাজশাহী পবায় ট্রাক চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ৩
ইরানের হামলার বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়েই যাচ্ছেন ব্লিনকেন
বিশ্বকে বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের দাবি তরুণদের
আবুধাবীতে চালু হলো ইউএস বাংলার ফ্লাইট
মণিপুরী ছাত্রদের জন্য একটি আলাদা হোস্টেল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
গাজায় শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকতে চাইছে না কাতার?
ঝিকরগাছায় তুলা গাছ থেকে পড়ে শিক্ষকের মৃত্যু
ওষুধ, রেডিও ফার্মাসিউটিক্যালসে শীর্ষ ৩ দেশের মধ্যে ইরান
ইসরাইল আগ্রাসন চালালে ইরানের পারমাণবিক বিবেচনার পরিবর্তন ঘটবে: তেহরান