বিশ্বের শীর্ষ বিস্কুট ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নাতি নুসলি
৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৫ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৯ পিএম

নুসলি ওয়াদিয়া শুধু ভারত নয়, বিশ্বেরও অন্যতম বিত্তবান ব্যক্তি তিনি। ব্যবসায়িক পরিবারে বেড়ে ওঠা তার। দাদা, বাবা সবাই ব্যবসায় নাম উজ্জ্বল করেছেন। বড় হয়ে একই পথ বেছে নিয়েছেন তিনিও। আর তাতে সফলও হয়েছেন। নুসলির আরো একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নাতি। ভারতীয় ব্যবসায়ী নুসলির একাধিক সংস্থা রয়েছে। বিস্কুট থেকে বিমান— সব সংস্থাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত।
গত ২২ মার্চ বিশ্বে ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ‘এমথ্রিএম গ্লোবাল রিচ লিস্ট’ অনুযায়ী বিশ্বের অন্যতম ধনী বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থার শিরোপা পেয়েছে নুসলির সংস্থা। যে বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থার হাত ধরে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছেন নুসলি, সেই সংস্থা এক সময় অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল তাকে। সেই কাহীনি বলার আগে বরং নেসের অতীতটা ঝালিয়ে নেওয়া যাক। ১৯৪৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে পার্সি ওয়াদিয়া পরিবারে জন্ম নুসলির। তার বাবা নেভিল ওয়াদিয়া এবং দাদু নেস ওয়াদিয়ারও ব্যবসায়ী হিসেবে সুনাম রয়েছে।
ব্যবসায়িক পরিবারের সন্তান হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সেদিকে ঝোঁক ছিল নুসলির। ওয়াদিয়াদের পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে। দেশজুড়ে এই সংস্থার খুবই নামডাক। ১৯৬২ সালে ওই সংস্থায় শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন নুসলি। ৮ বছর পর, ১৯৭০ সালে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে যোগ দেন তিনি। পরের বছর নুসলি জানতে পারেন যে, সংস্থাটি অন্য এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করবেন তার বাবা। তখন নুসলির মাত্র ২৬ বছর বয়স। নিজের কাঁধে সংস্থা চালাতে তখন মুখিয়ে ছিলেন নুসলি।
মা, বোন, বন্ধুবান্ধব এবং মেন্টর জেআরডি টাটার সাহায্যে সংস্থাটির ১১ শতাংশ শেয়ার আদায় করে নেন নুসলি। বিক্রি ঠেকাতে কর্মীদের শেয়ার কেনার আহ্বান জানান। তার পর বাবাকে বুঝিয়ে সংস্থার বিক্রি রোখেন। ১৯৭৭ সালে সংস্থাটির চেয়ারম্যান হন নুসলি। তার পর থেকেই ব্যবসায়িক দুনিয়ায় রাজত্ব করতে শুরু করেন তিনি। তবে প্রথম থেকেই একটি নামী বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থায় পা গলানোর ইচ্ছা ছিল নুসলির। এই সূত্রেই ওই সংস্থাটি অধিগ্রহণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
সেই সময় ওই সংস্থাটির মালিকানা ছিল আমেরিকার আরজেআর নেবিসকোর। বন্ধু রাজন পিল্লাইয়ের মাধ্যমে নেবিসকোর কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন নুসলি। কিন্তু বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থার ভারতীয় শাখার চেয়ারম্যান হিসেবে নুসলির বদলে পিল্লাইকে বেছে নেয় আমেরিকার ওই সংস্থা। ফলে স্বপ্নপূরণ অধরা থেকে যায় নুসলির। পরে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে পিল্লাইয়ের বিরুদ্ধে। সেই সময় ওই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করেন নুসলি। নুসলিদের ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর অধীনে বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। ২০০৫ সালে বিমান পরিবহণ ব্যবসাতেও পা রাখে তারা। সেখানেও সফল হয়েছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠী।
নুসলির সম্পত্তির পরিমাণ নেহাত কম নয়! বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, নুসলির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৩১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। নুসলির স্ত্রীর নাম মৌরিন ওয়াদিয়া। তিনি একসময় বিমানসেবিকা ছিলেন। পাশাপাশি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক তিনি। নুসলির দুই পুত্র রয়েছেন। তারা হলেন নেস এবং জাহাঙ্গির ওয়াদিয়া।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ক্রিস্তেফ গালতিয়েরকে বরখাস্ত করল পিএসজি

স্বাস্থ্যসেবায় ওয়ান হেলথকে এগিয়ে নেয়ার আহবান

ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকদের বোনাস এবং জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী লাঞ্চিত

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় রাজি

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

‘অখ- ভারত মানচিত্র’ আমরা অন্ধকারে?

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পিটার হাসের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

বিএনপির ভাবনায় শুধুই সরকারের বিদায়

কলকারখানা-এনবিআর-দুদক টার্গেট ড.মুহাম্মদ ইউনূস

৮ জুন দেশব্যাপী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান নেবে বিএনপি

ফের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চোখ

বিদ্যুৎ-জ¦ালানি অব্যবস্থাপনা নিয়ে সংসদে ক্ষোভ

দাউদকান্দিতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চিকিৎসকরাও বলছেন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা উচিত নয়

বাঁধ ধসে তলিয়ে গেল ইউক্রেনের শহর

কাপাসিয়ায় বিএনপির স্মরণ সভা শেষে ফেরার পথে যুবলীগের হামলায় ৪ বিএনপি নেতা আহত

যুক্তরাষ্ট্রকে উপেক্ষা করে ভেনিজুয়েলাকে কাছে টানছে সউদী

বিপদ-আপদ-মুসিবতে অনুযোগ নয় প্রত্যাবর্তন ও অনুতাপই শেষ কথা-২