ভারত-বাংলাদেশের মত এমন সম্পর্ক বিশ্বে আর নেই : ভারতীয় হাইকমিশনার
০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২২ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৪ পিএম
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ভারতীয় হাইকমিশনে ‘ভারত বিচিত্রার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এর বিশেষ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে’ অংস নেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ একটি চমৎকার সম্পর্ক উপভোগ করছে, ‘বিশ্বে যার জুড়ি মেলা ভার।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আজ সত্যিই বহুমুখী এবং পারস্পরিক উন্নয়নের পরিপূরক।’
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। আমরা প্রায়ই যেমনটি বলে থাকি, আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথম, আসলে প্রতিবেশী দ্বিতীয়। বাংলাদেশই প্রথম। নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশী নীতিতে ঢাকাকে প্রথম গণ্য করে।’
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন যে ভারত যখন জি২০-এর প্রেসিডেন্ট হয়, নয়াদিল্লি সেই গুরুত্বপূর্ণ বহুজাতিক প্ল্যাটফর্মের আলোচনায় যোগ দিতে বাংলাদেশকে বিশেষ অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা, বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, প্রতিকূলতা উত্তরণ এবং অগ্রগতি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প বিশ্বমঞ্চে শোনা যাবে এবং তা থেকে অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারবে।’
তিনি বলেন, নয়াদিল্লি জি-টোয়েন্টিতে বিশেষ অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শুধু ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বন্ধুকে সম্মানিতই করেনি বরং অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্ব উদযাপন করছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে আজ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রসরমান অগ্রগতি এবং একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আমাদের ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে এবং নতুন গতি বেগ সঞ্চার করছে।
ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমাদের দু‘দেশের নেতারা প্রভূত মাত্রার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারত বিচিত্রার বিশেষ সংস্করণ ভারতীয় হাইকমিশনের এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকাশনার ৫০তম বছরকেও চিহ্নিত করেছে।’
তিনি বলেন, এ ৫০ বছরে ‘ভারত বিচিত্রা’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সকল গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং মাইলফলককে ধারণ করেছে এবং সকল ভাবাবেগ এবং পারস্পারিক সহানুভূতিরও আধার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত বিচিত্রা’ বাংলাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতের অবস্থান বাড়াতে একটি মূল্যবান প্ল্যাটফর্ম।
তিনি আরো বলেন. এ সাময়িকীর প্রথম সংখ্যাটি ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীনও এর প্রকাশনা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল উন্মোচন করা বিশেষ সংস্করণে ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র ও সমৃদ্ধি তুলে ধরে এমন নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, অনুবাদ রয়েছে এবং সেই সাথে এ অঞ্চল ও বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অবদানের বিবরণও ধারণ করে।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি লেখিকা সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এবং বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন। সূত্র : বাসস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
উত্তরা ক্লাবের নতুন সভাপতি ফয়সল তাহের
গজারিয়ায় বিএনপি নেতার শীত বস্ত্র বিতরণ
টাঙ্গাইলে মহাসড়কে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ইসির প্রস্তুতি
গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
দোয়ারাবাজারে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সচিবালয়ে আগুন পরিকল্পিত: প্রকৌশলী ইকরামুল খান
সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে আটকা পড়েছেন ৭১ পর্যটক
জকিগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতির লক্ষে ইসিফোরজে’র প্রি-ওয়ার্কশপ
উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি গঠন, ৩ কর্মদিবসে প্রাথমিক প্রতিবেদন
ব্রাহ্মণপাড়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা
কালীগঞ্জে পুকুর থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিবন্ধন চূড়ান্ত: হজযাত্রী ৮৩ হাজার ২৪২ জন
হল্যান্ডের পেনাল্টি মিস,বিবর্ণ সিটি ফের হারাল পয়েন্ট
শরীফ থেকে শরীফার গল্প বাতিল করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিসিএ নির্বাচন সম্পন্ন: মিজান সভাপতি, মতিন সম্পাদক
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৩
বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী: শাহজাহান চৌধুরী
সচিবালয়ে আগুন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করলো এবি পার্টি