আমেরিকার প্রাক্তন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল চীন। তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের আমেরিকা সফর ঘিরে বেইজিংয়ের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এই সফরের পরিণতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বেইজিং। সেই সঙ্গে তাইওয়ান দ্বীপের কাছে চীনা সেনার যুদ্ধবিমানের চক্কর দেয়া কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।

আগামী দিনে সেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন গিয়েছেন আমেরিকায়। সেখানে গিয়ে আমেরিকার হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকাথির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এই বৈঠককে ‘বিপজ্জনক’ অ্যাখ্যা দিয়েছে চীন। এর পাল্টা জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।

আমেরিকার হাউস স্পিকার ম্যাকাথি আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ অফিসিয়াল। তার সঙ্গে তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের বৈঠকের যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে। আমেরিকার মাটিতে তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ রকম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক গত এক দশকে হয়নি। হাউস স্পিকারের পাশাপাশি রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক আইন প্রণেতা দের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট। স্বাভাবিক ভাবে চীনের আগ্রাসী মনোভাবের মোকাবিলার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে।

এই বৈঠকের পর ম্যাকাথিকে সঙ্গে নিয়ে তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘কাঙ্খিত শান্তি বজায় রাখা ও আমরা যে গণতন্ত্র তৈরি করেছি তা রক্ষার জন্য আজ আমাদের একাধিক বাধার মুখোমুখি হতে হয়। এই বাধার বিরুদ্ধে চলা আর গোপন নেই।’ চীনকে কচাক্ষ করেই যে এই বার্তা তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এর পরই আমেরিকা ও তাইওয়ানের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছে চীন। ভবিষ্যতে এর জবাব চীন দিলে তার মোকাবিলা করা কঠিন হবে বলে হুঁশিয়ার বেইজিংয়ের। পাশাপাশি তাইওয়ানের আকাশে চীনা সেনার যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি বাড়িয়েছে বেইজিং। সূত্র: রয়টার্স।