বিভিন্ন দাবিতে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমেছে। ফলে সেই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আর জনঅসন্তোষ অনিয়ন্ত্রিত বিদ্রোহ আর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে।
ইসলাম খবরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর আইনের বোঝা, লোডশেডিং, আটা-ময়দা সংকট এবং খালসা সরকার আইনের অপব্যবহার করে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে ওই অঞ্চলে। এতে স্কার্ডু, গিলগিট, হুনজা এবং ঘিজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের সংকট আর সমস্যার তালিকা দীর্ঘ। আর এই সমস্যাগুলোই পাকিস্তান থেকে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতা শুরুর কারণ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক, নাগরিক সংশ্লিষ্ট, পদ্ধতিগত বা কাঠামোগত সংস্কারসহ বিভিন্ন অগ্রগতি বা উন্নয়নের ধারণার প্রতি পাকিস্তানের আত্মতুষ্ট মনোভাব রয়েছে। যে কারণে সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কম আগ্রহই দেখায়। সেইসঙ্গে নিজেদের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার ঢাকতেও সেই আত্মতুষ্টির মনোভাব সাধারণ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয় পাকিস্তানে।
গিলকিট বাল্টিস্তানের জনগণের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তান সরকার অমানবিক উপায়ে তাদের শোষণের পথ বেছে নিয়েছে। যে কারণে ফের গিলগিট বাল্টিস্তান অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো সামনে এসেছে। সেখানে পাকিস্তানের নৃশংসতার ইতিহাস ক্ষমার অযোগ্য।
স্বায়ত্তশাসিত একটি রাষ্ট্র বা ভারতের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবি এই অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে। সরকারের সাত দশকের প্রতারণা, বর্বরতা এবং সাম্প্রতিক বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনকে দোষারোপ করা হচ্ছে; এ বিষয়গুলো গিলগিট বাল্টিস্তানের নাগরিকদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আবার এসব ঘটনা নিয়ে যে সাংবাদিকরা খবর প্রকাশ করছে, তারা রাজ্য সরকারের কঠোর দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে ইসলাম খবর জানিয়েছে।