ঢাকা   শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

মার্কিন মুদ্রার আধিপত্য হ্রাস করতে পারবে কী চীন ও রাশিয়া?

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৫ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম

বিশ্বজুড়ে বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনে ডলার প্রধান মুদ্রা হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন এক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেটা হচ্ছে, আমেরিকান ডলারের আধিপত্য খর্ব করার জন্য সক্রিয় হয়েছে চীন ও রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে মুদ্রাবাজারে। অনেক দেশ আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের বিকল্প হিসাবে নিজেদের মুদ্রা ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

বর্তমান বিশ্বে ব্যাংকগুলোর মোট রিজার্ভের ৭০ শতাংশই রয়েছে ডলারের দখলে। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর নিজেদের মুদ্রা চালুর এই চেষ্টায় কী ডলারের ওই আধিপত্য কমবে?

বিকল্প খুঁজছে অনেকে

ইউক্রেনে হামলা করার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই তারা ঘোষণা করেছে, গ্যাস বা তেল বিক্রির অর্থ এখন থেকে রুবলে পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে বিনিময় মূল্য কমে যাওয়ার বদলে বরং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে রুবল।

চীন, ভারত ও তুরস্কের মতো বড় অর্থনীতির দেশ রাশিয়া থেকে রুবলে তেল ও গ্যাস কিনছে। এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলোও রুবলে রাশিয়াকে অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর রাশিয়া সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রফতানি করে থাকে।

রাশিয়ার অর্থায়নে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে, সেটার ঋণ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও রাশিয়া সম্মত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলো বলছে।

ডলারের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে ইরান, চীন, ব্রাজিল, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সিঙ্গাপুরসহ ১৮টি দেশের সঙ্গে রূপিতে লেনদেনের একটি চুক্তি করেছে ভারত।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সাবেক অর্থনীতিবিদ ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের স্ট্রাটেজিস্ট ডেভিড উ বলছেন, ‘’রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসাবে ডলার নিয়ে অনেক দেশ ভাবতে শুরু করেছে।‘’

‘’রাশিয়া ডলারের বদলে রুবলে লেনদেনের চেষ্টা করছে। চীনও বৈদেশিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের চেষ্টা করছে, কারণ তারাও চিন্তা করতে শুরু করেছে, কোনো দিন যদি তাদের অবস্থা রাশিয়ার মতো হয়, তখন কী হবে? ফলে কোনো কোনো দেশ নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে ডলারের বিকল্প ব্যবহারের চেষ্টা করছে।‘’

সৌদি আরব থেকে ইউয়ান ব্যবহার করে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে চীন। এর মধ্যেই তারা ফ্রান্সের টোটাল এনার্জির সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন শুরু করেছে।

গত মার্চ মাসে ব্রাজিল ও চীন একটি যুক্তি করেছে, যে চুক্তির বলে দুই দেশের বাণিজ্যের লেনদেন নিষ্পত্তিতে পরস্পরের মুদ্রা ব্যবহার করা হবে।

ইরান, ভেনেজুয়েলা ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোয় পণ্য বিনিময়ে ২০১৮ সালে সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছে চীন, যেখানে তারা রেনমিনবি বা আরএনবিতে লেনদেন করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘’একটা প্রচেষ্টা চলছে, সেটা বলা যায়। কিন্তু সত্যিকারে ডলারের জন্য কোন হুমকি তৈরি করবে কিনা, তা বুঝতে হলে আরও অপেক্ষা করতে হবে।‘’

বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, অগাস্ট মাসে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকসের যে সম্মেলন রয়েছে, সেখানে ডলারের বিকল্প মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে।

ডলার আধিপত্য হারাবে?

বর্তমান বিশ্বে রিজার্ভ মুদ্রা হিসাবে ডলারের অবস্থান প্রায় ৭০ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে ইউরো, পাউন্ড, অস্ট্রেলিয়ার বা কানাডার মুদ্রা, ইয়েনের অবস্থান। বাংলাদেশের আমদানির ৮৫ শতাংশ আর রফতানির ৯৭ শতাংশ ডলার ব্যবহার করে করা হয়।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সরাসরি নিজেদের মুদ্রা বিনিময়ের সুযোগ থাকলে ঝুঁকি এবং বাণিজ্যিক খরচ কমে আসে। যদিও বাংলাদেশে সেরকম কোনো প্রচেষ্টা শুরু হয়নি।

পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত ২০/৩০ বছর ধরেই ডলারের বিকল্প মুদ্রার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাতে এখনও কোনো সফলতা আসেনি।

‘’ ইউরো ইউরোপের অনেকগুলো দেশের একক মুদ্রা হলেও এসব দেশের অর্থনীতিতে আলাদা আলাদা নীতি আছে। সব দেশের অর্থনীতিও এক রকম নয়। ফলে ইউরোর পক্ষে সারা বিশ্বের একটি মুদ্রা হয়ে ওঠা অনেক চ্যালেঞ্জের। চীনের পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক কারণে, নিজেদের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তারা সেটা চায় না।’

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোয় ইউরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হলেও অন্য অঞ্চলে এর ব্যবহার অনেক কম। ফলে সম্ভাবনা থাকলেও ডলারের বিপরীতে সেটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি।

আহসান এইচ মনসুর বলছেন, ‘’চীনের মুদ্রা কিন্তু এখনও পুরোপুরি বিনিময়যোগ্য মুদ্রা হিসেবে চালু হয়নি। চীন কী সেটা করবে? তারা বরং তাদের ক্যাপিটাল ধরে রাখতে চায়, নিজেদের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। এমন চিন্তায় তাদের মুদ্রা কখনও পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হয়ে উঠতে পারবে না।’

ডলার হঠানোর চ্যালেঞ্জ

এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, কোনো দেশ যদি তার মুদ্রাকে ডলারের বিপরীতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে তাকে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের বড় ঘাটতি মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ, তার দেশে ওই মুদ্রা যতটা আসে, তার চেয়ে বেশি মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাবে।

বর্তমানে ডলারের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলতি হিসাবের ঘাটতির দেশ। অন্যদিকে চীন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলতি হিসাবে সমৃদ্ধ দেশ।

অর্থনীতিবিদ ডেভিড উ বলছেন, '' চীনের মতো রফতানি নির্ভর দেশগুলো কখনও চাইবে না, ডলারের বিপরীতের তাদের মুদ্রার মান বেড়ে যাক। সেটা হলে তাদের রফতানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঠিক একই কারণে সেটা করতে চায় না জাপানের মতো দেশও।''

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের মতো করে কোনো দেশ নিজেদের মুদ্রাকে আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করতে চাইলে চলতি হিসাবের বিশাল ঘাটতি তৈরি হবে।

''যুক্তরাষ্ট্র সেটা করতে রাজি আছে। কিন্তু চীন, জাপানের মতো দেশ, যাদের এখন বৈদেশিক মুদ্রার বিশাল মজুদ আছে, তারা কখনই চাইবে না যে তাদের নিজেদের মুদ্রা মান বাড়িয়ে চলতি হিসাবে বিশাল ঘাটতি তৈরি হোক, বলছেন আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের স্ট্রাটেজিস্ট ডেভিড উ।

তিনি বলেন, ‘’অনেক দেশ এখন নিজেদের মুদ্রায় লেনদেন করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসাবে বা রিজার্ভের মাধ্যম হিসাবে তারা ডলারের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারবে বলে আমি মনে করি না। কারণ এখনও ডলারকে যেভাবে বিশ্বের দেশগুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাবে ব্যবহার করে, অন্য কোনো মুদ্রা সেই অবস্থায় এখনও যেতে পারেনি। ফলে আপাতত ডলারের জন্য এখনও বিশ্ববাজারে বড় কোনো হুমকি নেই।

ডেভিড উ বলেন, ‘আমরা জানি ডলারের অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু আর কোন মুদ্রা কি আছে, যেটা ডলারের চেয়ে সমস্যা কম এবং ডলারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে? এখনও তেমনটা দেখছি না।' সূত্র : বিবিসি


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা
অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু
নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত
দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন
ইউক্রেনে আহত উত্তর কোরীয় এক সেনা আটক
আরও

আরও পড়ুন

শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত

শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস

আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ