ঢাকা   শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

আরবের মরুতে ২ হাজার বছরের পুরোনো সেনা ঘাঁটির সন্ধান

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩১ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:০৬ এএম

মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম দেশ সউদী আরবের মরুভূমিতে ২ হাজার বছরের পুরোনো কয়েকটি রোমান সেনাঘাঁটির সন্ধান পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক সন্ধান পেয়েছেন এসব ঘাঁটির।

গবেষকদলের উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানসাময়িকী অ্যান্টিকিউয়িটিতে সাম্প্রতিক এই সন্ধানের ওপর পিআর রিভিউ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।

যীশুখ্রিস্টের জন্মের এক শতাব্দি পর, ১০৬ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন নাবাতীয় রাজবংশের হাত থেকে বর্তমান সউদী আরবসহ গোটা আরব উপদ্বীপের উল্লেখযোগ্য অংশ কেড়ে নেয় রোমান সাম্রাজ্য। তারপর থেকে ইসলাম আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল সৌদি।
ধারণা করা হচ্ছে, আরব উপদ্বীপের যে ভূখণ্ডটি জর্ডান নামে পরিচিত, নাবতীয় রাজবংশের রাজধানী ছিল সেখানে। সেনা ঘাঁটিগুলোর সন্ধান যেসব অঞ্চলে পাওয়া গেছে, সেগুলো সৌদি-জর্ডান সীমান্ত থেকে খুব দূরে নয়। ধারণা করা হচ্ছে, নাবতীয় সম্রাটরা যেন ফের সৌদির দখল নিতে না পারেন- সেজন্য সীমান্ত চৌকি হিসেবে এই ঘাঁটিগুলো স্থাপন করেছিল রোমান সেনাবাহিনী।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক দলের অন্যতম সদস্য ড. মাইকেল ফ্রেডলি স্কাই নিউজকে জানান, ‘আমরা প্রায় শতভাগ নিশ্চিত যে, এই ঘাঁটিগুলো প্রস্তুত করেছিল রোমান সেনাবাহিনী। সামরিক ঘাঁটিগুলোর নকশা অনেকটা তাসের আকৃতির। আশপাশের এলাকায় নজরদারির সুবিধার্থে প্রাচীন রোমান সামারিক ঘাঁটিগুলো এই নকশাতেই তৈরি করা হতো।’

তবে ১০৬ খ্রিস্টাব্দে যখন এই ঘাঁটিগুলো প্রস্তুত করা হয়, তখনও নাবতীয় শাসকদের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে রোমান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ চলছিল বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

এই দলের আরেক প্রত্নতত্ত্ববিদ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইক বিশপ আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে বলেন, ‘প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্য ছিল বিশাল। সেই সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশ দখলে রাখতে দুর্গ তৈরি করত রোমান শাসকরা; কিন্তু যুদ্ধের সময় কোনো এলাকা দখলের পর তা কীভাবে নিজের এক্তিয়ারে রাখতে হয়, সে ব্যাপারটিও তারা জানত এবং তার প্রামাণ এই সামরিক ঘাঁটির নিদর্শনগুলো।
ঠিক কতগুলো ঘাঁটির নিদর্শন পাওয়া গেছে, তা জানা যায়নি- তবে প্রতিটি ঘাঁটির মধ্যকার দূরত্ব ৩৭ থেকে ৪৪ কিলোমিটার। এই দূরত্বের কারণে তখনকার দিনে যে কোনো পদাতিক বাহিনীর পক্ষে একদিনে সব ঘাঁটিতে সর্বাত্ম আক্রমণ চালানো প্রায় অসম্ভব ছিল।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা
অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু
নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত
দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন
ইউক্রেনে আহত উত্তর কোরীয় এক সেনা আটক
আরও

আরও পড়ুন

শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত

শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস

আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ