চীনের সঙ্গে বাইডেনের অর্থনৈতিক যোগ, লাভের চেয়ে ঝুঁকিই বেশি
২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় প্রচার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেইজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক ব্যস্ততার চাপও দ্বিগুণ করছেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে এই ধরনের সংলাপের পথ খোঁজা রাজনৈতিক দিক থেকে অর্থপূর্ণ; কিন্তু এতে প্রকৃত লাভ বা স্বার্থ হাসিলের তুলনায় চীনের উপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ তুলে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কলামিস্ট জশ রগিন ওয়াশিংটন পোস্টে তার এই মতামত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি লিখেছেন, একটি অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিস্থিতি শোচনীয় অবস্থানে এবং সেইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভুগছে আমেরিকানরা। চীনের বিষয়ে বাইডেনের কঠোর অবস্থান ধরে রাখার অভিপ্রায় আর বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের দ্রুত অবনমনের গতি কমানোর আগ্রহের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে ওয়াশিংটনকে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াসে চীন ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জশ রগিনকে বলেছেন, গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ব্যক্তিগত আলাপের ফলোআপ হিসেবে আরেকটি আলাপের পথ খুঁজছেন বাইডেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুনের ঘটনার রেশ ধরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের চীন সফর বাতিলের কারণে সেই পথ রুদ্ধ হয়ে আছে।
এই পরিস্থিতিতে এমনকি চীনা প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোন রিসিভ নাও করতে পারেন। কিন্তু শি জিনপিং সরকার বাইডেন প্রশাসনকে বলেছে, তারা অর্থনৈতিক বিষয়ের আলোচনা শুরু করতে চায়। এটি বাইডেনের অর্থনৈতিক বিষয়ের কর্মকর্তাদের আলোচনার পথে এগিয়ে যাওয়ার দরজা খুলে দিচ্ছে।
গত ৬ নভেম্বর বাইডেনের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠকে অনেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার পক্ষে যুক্তি দেন। পরের সপ্তাহে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেইজিং এবং সাংহাই পরিদর্শন করেন এই বছরে বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডোর সম্ভাব্য সফরের পথ খুলতে।
তারপর গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে চীন বিষয়ে এক বক্তৃতায় ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট এল. ইয়েলেন ‘উপযুক্ত সময়ে’ বেইজিং সফরের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনার জন্য ভিত্তি স্থাপনের সংলাপের প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
তবে এটি চীনা সরকারের জন্য একটি বিশাল ছাড় হবে…এবং যদি ব্লিনকেনের সফর পুনঃসূচির আগে ইয়েলেন বা রাইমন্ডো বেইজিংয়ে যেতেন, তাহলে এটি মার্কিন কৌশলে একটি বাস্তবিক পরিবর্তন তুলে ধরবে। জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ ছাড়াও ইয়েলেনের বক্তৃতায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে। আর সেটি হলো, ‘অর্থনীতিতে সঙ্গে যুক্ত থাকুন, সম্পর্ক উন্নীত হতে পারে’।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
দুই দিনেই পরাজয়ের ধ্বনি শুনছে বাংলাদেশ
ছাত্রআন্দোলনে শহীদ ছাত্রদলনেতা ওয়াসিমের কবর জিয়ারতে কেন্দ্রীয় নেতারা
অনেক সচিবসহ কর্মকর্তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে:রিজভী
রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে: উপদেষ্টা নাহিদ
কমলা হ্যারিস জিতলে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার হুমকি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেটও: ইলন মাস্ক
বান্দরবানের রুমায় অস্ত্র গোলাবারুদ জ্যামার উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ছুটির দিনেও চলছে মেট্রো
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ ও বিচারের দাবীতে খুলনায় মানববন্ধন
শেখ হাসিনার দলবলকে আগলে রেখেছে বর্তমান প্রশাসন: সেলিমা রহমান
রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ জনে
অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী ইবি শিক্ষার্থীদের
৩শ' আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
বরিশালে রাইজিং স্কলার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠিত