চীন থেকে মুখ ফেরাচ্ছে আরও মার্কিন কোম্পানি : অ্যামচাম চীন
৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:২০ এএম
চীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এক চতুর্থাংশেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশটি থেকে অন্যান্য দেশকে ব্যবসা স্থাপনে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন চায়না (অ্যামচ্যাম চায়না) বলছে। চীন-মার্কিন সম্পর্কের হতাশাজনক পরিস্থিতির কারণে এমনটা হয়েছে বলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এক জরিপে দেখা যায়, চীনের অনিশ্চিত নীতি পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের কারণে অ্যামচ্যাম চায়না সদস্যদের প্রায় ২৭ শতাংশ তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চীন ব্যতীত অন্য দেশগুলিকে বিবেচনায় নিচ্ছে। চলতি বছরের ১৮ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষা প্রতিবেদনটি বুধবার চীনস্থ আমেরিকান বিজনেসে শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশিত হয়।
এর আগে গত নভেম্বরে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই হার ছিল ৬ শতাংশ। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনটি চলতি বছরে চায়না বিজনেস ক্লাইমেট সার্ভে রিপোর্টে (বিসিএস) প্রকাশিত হয়েছিল।
এদিকে সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় ৮৭ শতাংশ মার্কিন প্রতিষ্ঠান বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে সম্পর্কের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ২০২৩ সালের বিসিএস প্রতিবেদনে এই হার ছিল ৭৩%।
একই সময়ে উত্তরদাতাদের মধ্যে চীন-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী ব্যবসায়ীদের হার ৮ থেকে ২ শতাংশে নেমেছে। আর বাকি ১১ শতাংশ এই প্রশ্নের উত্তরে নিরপেক্ষ ছিল।
অ্যামচ্যাম চায়নার চেয়ারম্যান কলম রাফারটি বলেন, সাম্প্রতিক জরিপটি উত্তেজনাপূর্ণ মার্কিন-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে সেই পটভূমিতে পরিচালিত হয়েছিল। চীন এখন আর আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের প্রাথমিক গন্তব্য নয়।
রাফারটি বলেছেন, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালের জন্য আর্থিক পরিস্থিতি কিছুটা বেশি হতাশাজনক বলে জানিয়েছেন অ্যামচ্যাম চায়নার সদস্যরা।
ওই শ্বেতপত্রে অ্যামচাম চায়না বলেছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে কথা বলতে বেইজিংয়ের অস্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলির পাশাপাশি চীনের বেশ কয়েকটি প্রতিবেশীর সঙ্গেও উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, দুই পরাশক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে একটি প্রধান ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ মনে করছেন অ্যামচাম চীনের সদস্যরা। কারণ তিন-চতুর্থাংশ কোম্পানি সরাসরি মার্কিন-চীন সম্পর্কের পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। অ্যামচাম চীনের ৪৬ শতাংশ সদস্য মনে করছেন দেশ দুটির মধ্যে ২০২৩ সালে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে।
সূত্র : এশিয়া টাইমস ডটকম
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভর শীতে ও গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের বিলে-ঝিলে দেখা মিলছে না অতিথি পাখির!
এ বছর আর হচ্ছে না বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক
দীর্ঘদিন শরীর সুস্থ রাখার উপায়
গফরগাঁওয়ে ভয়াবহ ব্রহ্মপুত্র ট্রেন দুর্ঘটনা: গুরুতর আহত ১
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম গুরুতর বার্ড ফ্লু সংক্রমণে মিউটেশন, শনাক্ত একজন
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সূর্যের নিকটতম যাত্রা, নিরাপদে ফিরে এলো নাসার পার্কার সোলার প্রোব
দোয়ারাবাজার পল্লীতে যুবক খুন
স্পেনগামী সমুদ্রপথে ২০২৪ সালে অভিবাসীদের রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু
অভিনয়ের জন্য গোসল করতেন না অনিল কাপুর
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৫ সালে রাশিয়া সফর করবেন
শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী টাইম ওয়ার্নারের প্রাক্তন সিইও রিচার্ড ডি. পারসন্সের মৃত্যু
নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস
অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু
বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার
নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত