যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ২৪ শতাংশ মানুষ এখন গরিব
৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার নির্দেশের পর ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসজজ্ঞ চালায় রুশ সেনারা। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে সাধারণ ইউক্রেনীয়দের মধ্যে। –দ্য গার্ডিয়ান
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে বেকার ও গরিবের সংখ্যা বেড়েছে। এক বছর আগেও ইউক্রেনের পুরো জনসংখ্যার মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এটি ২৪ দশমিক ২ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ৭১ লাখ মানুষ আর্থিক স্বচ্ছলতা হারিয়েছেন।
যুদ্ধের কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় চাকরিও হারিয়েছেন অনেকে। বর্তমানে দেশটির ৩৬ শতাংশ কর্মক্ষম মানুষই কোনো কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এছাড়া ২০২২ সালের শেষদিকে দেশটিতে মূলস্ফীতি ২২ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে। বিশ্বব্যাংকের পূর্ব ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক অরূপ ব্যানার্জি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অবস্থা এরকম চলতে থাকলে দারিদ্রতা ও বেকারত্বের সংখ্যা আরও বাড়বে।
এছাড়া প্রয়োজন মেটাতে এখন অনেক সাধারণ ইউক্রেনীয় তাদের দামি জিনিসপত্র বন্ধক রেখে অর্থ নিচ্ছেন। যার মধ্যে তাদের মোবাইল ফোনও রয়েছে। এছাড়া রুটির দোকানে সাধারণ মানুষের ভীড় বাড়ছে। রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত একটি বন্ধক দোকানে আসা এক নারীর সঙ্গে কথা হয় গার্ডিয়ানের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নারী জানান, তিনি তার সেলাই মেশিনটি এই দোকানে বন্ধক দিয়ে অর্থ নিয়েছিলেন। এখন এটি ছাড়িয়ে নিতে এসেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, রুশ সেনারা হামলা চালানোর আগে ছোট একটি ফার্মের হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন। কিন্তু যুদ্ধ বাধার পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। তারা ফার্মটিতে মোট ১৪ জন কাজ করতেন। ওই সময় তারা সবাই একসঙ্গে চাকরি হারান। এতে হঠাৎ করে অর্থ সংকটে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন আরেকটি ছোট চাকরি পাওয়ার পর নিজের সেলাই মেশিনটি ফেরত নেওয়ার অর্থ যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন।
ওই বন্ধক দোকানের কর্মচারী ওলেক্সান্ডার স্টেফানোভ জানিয়েছেন, ব্যস্ততার দিনে তাদের দোকানে ৫০ জন মানুষও আসতে পারেন। যারা দামি জিনিসপত্র বন্ধক দিয়ে যান। যারা পারেন তারা ২ সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই আর আসেন না। ফলে সেগুলো বিক্রি করার জন্য সাজিয়ে দেন তারা।
এছাড়া বিনামুল্যের পণ্য ও রুটি নিতেও অনেক মানুষ লাইন ধরছেন। যারমধ্যে সাবেক সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছেন। যারা আগে সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করলেও বর্তমানে কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয় : ইউট্যাব
আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের
কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও অনুপ্রবেশকারীর দলে জায়গা হবে না-কেন্দ্রীয় যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরল ইসলাম নয়ন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে সমাবেশ
বিগত ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ১, থমথমে পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি, ৭২ ঘন্টার অবরোধের ডাক
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
নিরাপদ ও নির্ভয়ে উদযাপন হবে শারদীয় দূর্গোদসব এবং দূর্গাপূজা- এসএমপি কমিশনার রেজাউল করিম
মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ
চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর
বলিউডে কারিনা কাপুরের ২৫ বছর
মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ
রাজশাহীতে ট্রেনে বরযাত্রীদের ওপর হামলা
চিহ্নিত গোষ্ঠী আবার দখলদারি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে : সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই
গায়িকা রুকসানার রহস্যজনক মৃত্যু!
যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর