মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতি চীনের
০৩ মে ২০২৩, ১২:৩১ পিএম | আপডেট: ০৩ মে ২০২৩, ১২:৩১ পিএম
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেপিডোতে মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলের সাথে দেখা করেছেন, দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্ব’কে স্বাগত জানিয়েছেন এবং একটি সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় মধ্যেই সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সাথে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বৈঠক করেন। ২০২১ সালে অং সান সু চির নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। তারপর থেকে তিনি হচ্ছেন সর্বোচ্চ পদস্থ চীনা কর্মকর্তা যিনি মিয়ানমার সফর করলেন।
চীন আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন মিয়ারমারের সামরিক বাহিনীর একটি প্রধান মিত্র এবং অস্ত্র সরবরাহকারী এবং তারা মিন অং হ্লাইংয়ের দখলের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে। বৈঠকের পর চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তার এই সফর শুধু দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ইঙ্গিত নয়, বিশ্ব মঞ্চে মিয়ানমারের পক্ষে চীনের অবস্থানেরও প্রকাশ।
মিয়ানমারের রাষ্ট্র-চালিত এমআরটিভির খবরে বলা হয়েছে, জেনারেলের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিয়ে তারা মতবিনিময় করেছেন। তাদের আলোচনায় স্থান পেয়েছে সীমান্ত বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জ্বালানিতে সহযোগিতা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে কিন বলেন, ‘চীন সমর্থন করে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা এবং শান্তি ও পুনর্মিলন অর্জনে সহায়তা করার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা।’
এমআরটিভি কিনকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে তার সফর ‘শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বই নয়, বিশ্ব মঞ্চে মিয়ানমারের প্রতি চীনের অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়’। তার অংশের জন্য, জেনারেল কিনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘মিয়ানমার-সম্পর্কিত ইস্যুতে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যমূলক এবং ন্যায্য অবস্থানের প্রশংসা করেছেন এবং চীনকে বৃহত্তর ভূমিকা পালনে স্বাগত জানিয়েছেন’।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গণতন্ত্রপন্থি ও জান্তাবিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। হাজার হাজার বিরোধী এবং গণতন্ত্রপন্থি কর্মীকে জেলে ঢুকিয়েছে সেনাবাহিনী। অন্তত ৩ হাজার ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে নৃশংসভাবে বিক্ষোভ দমন করেছে তারা।
মিয়ানমার জান্তার এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে পশ্চিমা শক্তিগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ সামরিক সরকারের সংশ্লিষ্ট অনেকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে রাশিয়া ও চীন মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মিত্র হিসেবে বহাল রয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার