ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৫ মে ২০২৩, ০৩:২০ পিএম | আপডেট: ০৫ মে ২০২৩, ০৩:২০ পিএম

আর মাত্র ৯ দিন বাকি তুরস্কের নির্বাচন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়েচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। জনগণকে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

বৃহস্পতিবার প্রচারাভিযানে গিয়েছিলেন তুরস্কের গিরেসুন প্রদেশের হ্যাজেলনাট হাবে। সেখানে উৎসাহিত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারানোর ঘোষণা দেন।

এরদোগান বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রশাসনের জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের হার কমাবেন।
তিনি বলেন, তুরস্ক উল্লেখযোগ্য হারে মুদ্রা হ্রাসের মধ্যে চলছে। এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামীতেও এই হ্রাস অব্যাহত থাকবে। ক্ষমতায় গেলে আমরা বাজারে উচ্চ খরচ কাটিয়ে উঠব এবং এসব জায়গায় ক্ষতি পূরণ দেব। লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য মুদ্রাস্ফীতির হার এবং অন্যান্য কারণ বিবেচনা করে আগামী জুলাই মাসে চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হবে।
এরদোগান তার অতীতের অর্থনৈতিক সাফল্য তুলে ধরে বলেন, আপনারা জানেন দেশ কতদূর এগিয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ রয়েছে ১১৫ বিলিয়ন ডলার এবং ভবিষতে এটি আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, আমার ক্ষমতা থাকাকালীন দেশের যে উন্নতি হয়েছে তা একেবারে কম নই। তবে আমরা অতীতে যা করতে পারিনি, তা আগামীতে চেষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন, তুরস্ক গত কয়েক দশকে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মান উন্নত করেছে।
বিরোধী দলের উদ্দেশে তুরস্কের এই নেতা বলেন, আমরা দেখছি কীভাবে তারা গাজী মোস্তফা কামালের (আতাতুর্ক) উত্তরাধিকারকে কাজে লাগায়, কীভাবে কিলিকদারোগলুর স্বাধীনতার ধারণা তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করে। তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছ থেকে সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।
এরদোগান বলেন, আমি বিশ্বাস করি গিরেসুনের মানুষ কিলিকদারোগলুর সমর্থকদের দখল করতে দেবে না। আমি জানি, আপনারা কিছু পেঁয়াজ ও আলুর জন্য আপনাদের নেতাকে বলি দেবেন না।

গিরেসুন প্রদেশের পরে, এরদোগান অন্য একটি সমাবেশের জন্য কৃষ্ণসাগরের আরেকটি প্রদেশ ওরডুতে যান এবং একই দিন পরবর্তী সময়ে নিকটবর্তী সামসুন প্রদেশে আরেকটি সমাবেশে যোগ দেন।
আগামী রোববার এরদোগান তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগলুর মতো ইস্তানবুলে একটি বিশাল জনসমাগম করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওই মহাসমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন