ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

এবার বহুবিবাহ নিষিদ্ধের পথে আসাম!

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৯ মে ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম

বাল্যবিবাহ রুখতে ‘কুখ্যাত’ অভিযান চালানো হয়েছিল আসামজুড়ে। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৩, ৪৮৩ জনকে। এই ঘটনায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিল বিরোধী দলগুলি। এবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, তার রাজ্যে বহুবিবাহকে আইনত নিষিদ্ধ করা হবে। এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে বিশেষজ্ঞের কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বহুবিবাহ নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা টুইট করে জানিয়েছেন হিমন্ত। তার বক্তব্য, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজ্যের স্বাধীনতা আছে কি-না খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) আইন খতিয়ে দেখবেন তারা। হিমন্ত আরও জানান, এই বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। আইনজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।

মাস কয়েক আগে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বহুবিবাহ বা ‘নিকাহ হালালা’ অনুশীলনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। যার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এরপর হিমন্তের এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, আসামের মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত আদতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দিকে এককদম। এদিকে বাল্যবিবাহ নিয়ে ধরপাকড়ে যে অভিযোগ উঠেছিল হিমন্তের বিরুদ্ধে, ফের একই অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করাই আসামের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য। সূত্র: এবিপি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩

মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩

বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না

বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না

দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও

জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও

খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার

খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি   - মুশফিকুর রহমান

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত

চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

শাল্লায় কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ

শাল্লায় কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ

ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ

ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ

রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু

রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু

সালথায় সেতুর রেলিং-পাটাতন ভেঙে বেহাল দশা : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

সালথায় সেতুর রেলিং-পাটাতন ভেঙে বেহাল দশা : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার