ঢাকা   রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯ কার্তিক ১৪৩১

প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব ‘নীল রাস্তা’

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

৩১ মে ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম

প্লাস্টিক ‘বায়ো-ডিগ্রেডেবল’ নয়। অর্থাৎ প্লাস্টিকের ক্ষয় হয় না বললেই চলে। তবে এর বহুল ব্যবহার পরিবেশের ক্ষতি করে। পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো ও ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছেন পরিবেশ প্রেমীরা। ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালও (এনজিটি) ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য। ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেস সমীক্ষা করে জানিয়েছিল, রাস্তা নির্মাণের কাজে বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহারের কথা।

এরপরই বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ইতিমধ্যেই কয়েকটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের রাস্তা নির্মিত হয়েছে। এবার আরও উন্নত পদ্ধতিতে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রাস্তা তৈরির নজির করেছে পূর্ব বর্ধমান। পাকা রাস্তার উপরের স্তরে পিচের সঙ্গে নীল প্লাস্টিক টুকরো মিশিয়ে প্রলেপ দেয়া হয়েছে। এমন নীল রাস্তা রাজ্যে এই প্রথম বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে সমস্ত পঞ্চায়েতেই শুরু হয়েছে কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। তারই একটা অংশ হয়ে উঠেছে বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ। বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করলে তা অনেক টেকসই হচ্ছে। পিচের প্রধান শত্রু পানি। পানি জমলে পিচের রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাতে প্লাস্টিক মেশানো থাকলে তা নষ্ট হয় না। ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের সমীক্ষায় এমনটা জানিয়েছে বলে জানান রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এর ফলে রাস্তা আরও মজবুত হচ্ছে। দ্রুত রাস্তা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার পরিবেশের ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহার করার ফলে তা পরিবেশের ক্ষতিসাধন করতে পারছে না। পিচের সঙ্গে ১০ শতাংশ হারে বর্জ্য প্লাস্টিকের টুকরো ব্যবহার করে রাস্তা গড়া হচ্ছে।’ সূত্র: টাইমস নাউ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কুষ্টিয়া র‌্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

কুষ্টিয়া র‌্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল গাজা, ইউক্রেন ও সুদান যুদ্ধ প্রভাবিত করবে?

মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল গাজা, ইউক্রেন ও সুদান যুদ্ধ প্রভাবিত করবে?

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট

নাজমা মোবারেক ইতিহাসে প্রথম নারী সচিব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে

নাজমা মোবারেক ইতিহাসে প্রথম নারী সচিব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে

ফুলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আ'লীগ নেতা শশধর সেন গ্রেফতার

ফুলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আ'লীগ নেতা শশধর সেন গ্রেফতার

আখাউড়ায় সংঘর্ষে আহত নয়জন, পাল্টাপাল্টি মামলা

আখাউড়ায় সংঘর্ষে আহত নয়জন, পাল্টাপাল্টি মামলা

ভারতে হলে কিভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতেন ট্রাম্প-কমলা

ভারতে হলে কিভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতেন ট্রাম্প-কমলা

রংপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যু দন্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন

রংপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যু দন্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন

ইবিতে ছাত্র আন্দোলন দমাতে আওয়ামীপন্থীদের যত তৎপরতা

ইবিতে ছাত্র আন্দোলন দমাতে আওয়ামীপন্থীদের যত তৎপরতা

পঞ্চগড়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক আটক

পঞ্চগড়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক আটক

লাইসেন্স ফি কমানোর দাবিতে ফরিদপুরে অটো চালকদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন

লাইসেন্স ফি কমানোর দাবিতে ফরিদপুরে অটো চালকদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন

আটঘরিয়ার হস্তালিত তাঁতের তৈরি চাচকিয়ার লুঙ্গি এখন একটি ব্রান্ড

আটঘরিয়ার হস্তালিত তাঁতের তৈরি চাচকিয়ার লুঙ্গি এখন একটি ব্রান্ড

রংপুর মেডিকেল নতুন অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি

রংপুর মেডিকেল নতুন অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি

পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেল দেশের আরেকটি প্রতিষ্ঠান

পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেল দেশের আরেকটি প্রতিষ্ঠান

শ্যামপুরে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ : দগ্ধ একজনের মৃত্যু

শ্যামপুরে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ : দগ্ধ একজনের মৃত্যু

টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরি

টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরি

রেমিট্যান্স প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী, অক্টোবরে প্রবাসী আয় ২.৩০ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্স প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী, অক্টোবরে প্রবাসী আয় ২.৩০ বিলিয়ন ডলার

নিরাপদ প্রজননের পরে ইলিশ আহরনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল

নিরাপদ প্রজননের পরে ইলিশ আহরনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল

সঠিক আরওপি ব্যবস্থাপনা না হলে অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়বে বাংলাদেশে

সঠিক আরওপি ব্যবস্থাপনা না হলে অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়বে বাংলাদেশে

ইসি সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক, কমিশন গঠনে সৎ-নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ হবে’

ইসি সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক, কমিশন গঠনে সৎ-নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ হবে’