২০ বছরেই রাতের আকাশ থেকে উধাও হবে সব তারা! আশঙ্কা গবেষকদের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৬ জুন ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম

রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আজি যত তারা তব আকাশে/ সবে মোর প্রাণ ভরি প্রকাশে।’ সেদিন কি তিনি কল্পনাও করতে পেরেছিলেন একদিন তার লেখা এই পঙক্তিই হয়ে যেতে পারে অলীক! তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন গবেষকরা। এমন দিন আসতে চলেছে যেদিন রাতের আকাশের দিকে তাকালে চোখে পড়বে না একটাও তারা। কেবল চাঁদ ছাড়া দেখা যাবে না কিছুই!

২০১৬ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, ‘মিল্কি ওয়ে’ তথা ছায়াপথ আর দৃশ্যমান নয় পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মানুষের চোখে। আর সেজন্য দায়ী আলোর দূষণ। পরবর্তী কয়েক বছরে মানুষ যে সচেতন হয়নি তা বুঝিয়ে দিচ্ছে বর্তমান গবেষণা। পদার্থবিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার কাইবা এক গবেষক এই সংক্রান্ত গবেষণা চালাচ্ছেন আরও একদল গবেষকের সঙ্গে। তাদের দাবি, মানুষ এখনও আলোর দূষণকে কোনও বিপদ হিসেবে দেখছেই না। ফলে সচেতনতাও বাড়ছে না। আর ততই বাড়ছে এই দূষণ। উজ্জ্বল হয়ে উঠছে রাতের পৃথিবী।

গবেষক জানাচ্ছেন, ‘লাইট-এমিটিং ডায়োডস’ তথা এলআইড ও আলোর প্রকাশের অন্যান্য রূপের কারণে রাতের আকাশ ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত আলো, পথের ধারে উজ্জ্বল আলোর বাড়বাড়ন্ত, বিজ্ঞাপনের আলো, খেলার মাঠে রাতের উজ্জ্বল আলো সব মিলিয়ে এত আলো আমাদের চোখ থেকে মুছে দিচ্ছে তারার দৃশ্যমানতা।

ক্রিস্টোফার জানাচ্ছেন, ‘রাতের আকাশ আমাদের পরিবেশেরই অংশ। আমাদের আগামী প্রজন্ম যদি রাতের আকাশ দেখতে না পায় তাহলে তাদের জন্য সেটা একটা বড় বঞ্চনা হবে।’ গবেষণায় ধরা পড়ছে প্রতি বছর ১০ শতাংশ করে বাড়ছে রাতের আকাশের উজ্জ্বলতা। আজ যে শিশু জন্মাচ্ছে, সে রাতের আকাশে ২৫০টি তারা দেখতে পায়। সেই শিশুই ১৮ বছরে পৌঁছলে দেখতে পাবে মাত্র ১০০টি তারা!

পরিস্থিতি ক্রমেই আরও খারাপ হচ্ছে। আর তাই এই দূষণকে কমাতে আলোর উজ্জ্বলতা কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। বাড়াতে বলছেন সাদা আলোর ব্যবহার। আসলে আলোর এলইডির নীল আলো যেমন শরীরের ক্ষতি করে, তেমনই ওই আলো রক্তে শর্করার মাত্রাতেও সমস্যা আনে। পাশাপাশি বাড়ায় মেলোটোনিনের উৎপাদনও। এদিকে আলোর দূষণ বিভ্রান্ত করে সমুদ্রের কচ্ছপ ও পরিযায়ী পাখিদেরও। সূত্র: টাইমস নাউ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নগরবাসী

মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নগরবাসী

বাড়ছে তেল-স্বর্ণের দাম, শেয়ারের পতন

বাড়ছে তেল-স্বর্ণের দাম, শেয়ারের পতন

নতুন সঙ্কটে দেশের অর্থনীতি

নতুন সঙ্কটে দেশের অর্থনীতি

মধুখালীতে গণপিটুনি দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক দুই সহোদরকে হত্যা

মধুখালীতে গণপিটুনি দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক দুই সহোদরকে হত্যা

বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা -ওবায়দুল কাদের

বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা -ওবায়দুল কাদের

শরীয়তের ওপর আমলই সব সমস্যার সমাধান-২

শরীয়তের ওপর আমলই সব সমস্যার সমাধান-২

ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩ রোগী হাসপাতালে

ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩ রোগী হাসপাতালে

ফল-ফসলে হিটশকের শঙ্কা

ফল-ফসলে হিটশকের শঙ্কা

বয়স ৬১ শরীর ৩৮

বয়স ৬১ শরীর ৩৮

নীল রঙের বিরিয়ানি

নীল রঙের বিরিয়ানি

বাসন মাজার ঝামেলা শেষ

বাসন মাজার ঝামেলা শেষ

কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

তিন মাস বন্ধ ভোলার ৩৪.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র

তিন মাস বন্ধ ভোলার ৩৪.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র

গিলা-কলিজাতেই তারা তুষ্ট!

গিলা-কলিজাতেই তারা তুষ্ট!

যারা ডাল-ভাতের কথা চিন্তা করেনি এখন তারা মাছ-গোশত নিয়ে ভাবে : শেখ হাসিনা

যারা ডাল-ভাতের কথা চিন্তা করেনি এখন তারা মাছ-গোশত নিয়ে ভাবে : শেখ হাসিনা

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে রাস্তায় মুসল্লিরা

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে রাস্তায় মুসল্লিরা

মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের নিতে জাহাজ আসবে এ সপ্তাহেই

মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের নিতে জাহাজ আসবে এ সপ্তাহেই

ঈদের ছুটি শেষে ৪ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছে ১৮ হাজার ৮২০ জন যাত্রী

ঈদের ছুটি শেষে ৪ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছে ১৮ হাজার ৮২০ জন যাত্রী

কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক

কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক

রাজপথে আন্দোলনের লড়াকু সহযোদ্ধা তৈরি করতে হবে

রাজপথে আন্দোলনের লড়াকু সহযোদ্ধা তৈরি করতে হবে