যে কারণে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে না ইরান : খামেনি
১১ জুন ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইত, তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো আটকাতে পারত না- পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে তেহরানের উত্তেজনার মধ্যে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি জানিয়েছেন, মূলত ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই গণবিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেন না তারা।
রোববার (১১ জুন) সাংবাদিকদের খামেনি বলেছেন, ‘তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পশ্চিমারা এটি জানে। ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না। নয়তো তারা আমাদের আটকাতে পারত না।’
এছাড়া তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরান পুনরায় পারমাণবিক চুক্তি করতে রাজি আছে। তবে এক্ষেত্রে তাদের পারমাণবিক অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি করা যাবে না।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়টি পরাশক্তির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে আসেন। এখন নতুন করে আবারও সেই চুক্তিটি করার চেষ্টা চলছে। এরমধ্যেই এমন কথা বললেন খামেনি।
চুক্তিটি ফেরাতে কয়েক মাস অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও করেছিল তেহরান-ওয়াশিংটন। কিন্তু গত বছর থেকে এ সংক্রান্ত আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে।
কয়েকদিন আগে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই জানায়, গত বছর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে চুক্তি সম্পাদনের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী, তেহরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে দিত। এর বদলে যুক্তরাষ্ট্র কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিত।
পশ্চিমাদের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করার ব্যাপারে খামেনি বলেছেন, ‘পশ্চিমাদের সঙ্গে চুক্তি করায় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের পারমাণবিক অবকাঠামোয় স্পর্শ করা যাবে না।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার নিয়মের মধ্যে থেকে পারমাণবিক কার্যক্রম চালাবে। তবে এ সংস্থার অতিরিক্ত ও মিথ্যা কোনো আবদার মেনে নেবে না।
খামেনি আরও জানিয়েছেন, ইরানে ২০২০ সালে একটি আইন পাশ করা হয়। এই আইন অনুযায়ী, যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া হয় তাহলে তেহরান চাইলে তাদের পারমাণবিক অবকাঠামোয় আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারবে। সূত্র: রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক