চীনে কিছু মানুষ যেভাবে চিরতরে বদলে গেল
১৩ জুন ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম
চীনে যে তিনটি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ উদযাপন করা হয় তার একটি ২০ মে। এই দিনে জুটিরা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়, স্থানীয় প্রশাসন ভিড় সামলাতে অফিস সময় বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এ বছর সেই তৎপরতা দেখা যায়নি।
চীনা সংবাদমাধ্যম দ্য পেপার তাদের তথ্যে বলছে, প্রতিবছর ২০ মে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাড়লেও এবার গুয়াংডং ও ফুজিয়ানে প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। হুবেই ও গুইঝোতে ৫০ শতাংশ কমেছে।
প্রয়াত মাও সেতুং-এর প্রদেশ হুনানে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। মাত্র ৪ হাজার ৫৭৬ দম্পতি গাঁটছড়া বেঁধেছেন, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৭৫ শতাংশ কম। একে সম্ভবত আশ্চর্যজনক কিছু হিসেবে ধরা উচিত হবে না। কারণ কঠোর শূন্য-কোভিড নীতির অধীনে দীর্ঘ তিন বছর কাটানোর পর চীনারা এখন জীবন সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছে।
হ্যামারের পডকাস্টে সাক্ষাতকারে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি সন্তান নেওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না। কারণ তার ভবিষ্যত অন্ধকার। সরকার আবার যদি লকডাউন দেয় তখন কী হবে, প্রশ্ন করেন তিনি।
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ভাসাভাসাভাবে মনে হতে পারে কোভিড-১৯ মহামারীর দুঃসময়ের পর চীন তার আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। কিন্তু এখনও রাতের খাবারের সময় রেস্তোরাঁ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
এমনকি সম্প্রতি হংকংয়ে বেলা ৩টার দিকে তিনি জনপ্রিয় সিস্টার হুয়ার ব্রিফ ব্রিস্কেটের পাশ দিয়ে হেঁটেছেন। সেখানে তিনি পর্যটকদের লাইন দেখেছেন। তার কথায়, এসব জায়গায় একটু গভীরে অনুসন্ধান করলে চীনের শূন্য-কোভিড নীতির কারণে মানসিক ক্ষত নিয়ে বেড়ানো লোকদের দেখতে পাবেন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও