চীন চায় তিব্বতি শিক্ষার্থীরা শুধু ম্যান্ডারিনে কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিক
১৭ জুন ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম
চীনা কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তিব্বতি শিক্ষার্থীদের জন্য ম্যান্ডারিন ভাষা বাধ্যতামূলক করেছে চীন। গত ৭ থেকে ৯ জুন চীন জুড়ে এই পরীক্ষাগুলি অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ১৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছে। বাসিন্দাদের বরাতে এই খবর দিয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়া।
রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, আগের বছরগুলোতে তিব্বতিসহ জাতিগত সংখ্যালঘুরা তাদের মাতৃভাষায় পরীক্ষা দিতে পারতো। কিন্তু এই বছর চীন এই পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বতিদের শুধু ম্যান্ডারিন ভাষায় এই পরীক্ষা দিতে বলেছে। এছাড়া জাতিগত সংখ্যালঘুরা অতীতের মতো পরীক্ষা শেষ করতে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট যে সময় পেত এবার থেকে তাও দেওয়া হয়নি।
পরীক্ষায় শুধু ম্যান্ডারিন ব্যবহারের নীতি বেইজিংয়ের অন্যান্য বিতর্কিত শিক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা ম্যান্ডারিনকে তিব্বতি স্কুলগুলির মধ্যে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তিব্বতি অধিকার কর্মীরা বলছে, এসব কর্মকাণ্ড তিব্বতি সংস্কৃতিকে নির্মূল করার এবং অঞ্চলটিকে সিনিসাইজ করার বেইজিংয়ের পরিকল্পনার অংশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিব্বতি এক বাসিন্দা বলেছেন, ২০২২ সালে, চীনা সরকার মডেল ২ শিক্ষাব্যবস্থা আরোপ করে যার অধীনে গোলোগ, কার্দজে এবং কিংহাই জুড়ে সমস্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যান্ডারিনকে শিক্ষার প্রাথমিক মাধ্যম করা হয়। এখন চলতি বছরের শুরুতে চীন সরকার কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যম হিসেবে ম্যান্ডারিন চাপিয়ে দিয়েছে।
মডেল ২ শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধীদের যুক্তি, নীতিটি তিব্বতি ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে এবং আইনে এর কোনো ভিত্তি নেই। এক বাসিন্দা বলেছেন, চীন সরকারের শিক্ষা সংস্কারের এই আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে, তিব্বতি শিক্ষার্থীরা যারা ম্যান্ডারিনে ততটা প্রস্তুত ও দক্ষ নয় তারা মাতৃভাষা ম্যান্ডারিন এমন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সবসময় ভাষাটি শিখছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাসিন্দা বলেছেন, জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় অপসারণও সমস্যাময়। এই প্রবণতা সমগ্র তিব্বতি সম্প্রদায়ের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
সূত্র : এএনআই
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও