মণিপুরে ১২০০ মহিলার চাপের মুখে ১২ বন্দিকে ছাড়তে বাধ্য হল সেনা
২৫ জুন ২০২৩, ০২:১৮ পিএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩, ০২:১৮ পিএম
১০০, ২০০ নয়। ১২০০ জনের থিকথিকে ভিড়। নেতৃত্বে মহিলারা। মণিপুরে এমনই একটি দল সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি ১২ জন ‘বিদ্রোহী’কে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল। চাপের মুখে সকলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল সেনা। ওই ১২ জনকে শনিবার সকালেই আটক করা হয়েছিল। অভিযোগ, তারা মেইতেই জঙ্গিগোষ্ঠী কাঙলেই ইয়ায়ুল কান্না লুপ (কেওয়াইকেএল)-এর সদস্য। অতীতে সেনার উপর বহু হামলায় নাম জড়িয়েছিল এই গোষ্ঠীর।
শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় ‘বিদ্রোহী’দের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ চলেছে। ১২ জনকে সেনা বন্দি করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু বহু মানুষ একত্রিত হয়ে বন্দিদের মুক্তির দাবি করেন। অন্তত ১২০০ জন ছিলেন ওই দলটিতে। যার নেতৃত্বে ছিলেন মহিলারা। প্রাণহানির আশঙ্কা এড়াতেই দিনের শেষে নতিস্বীকার করে নেয় সেনা। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পরিস্থিতি স্পর্শকাতর। তার গুরুত্ব বুঝেই বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মহিলা পরিচালিত বিশাল বিক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে বাহিনী শক্তি প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি হতে পারত।’
সেনার তরফে একে ‘পরিণত সিদ্ধান্ত’ বলে মনে করা হচ্ছে। কমান্ডার ইন চিফকে উপরমহল থেকে এই পরিস্থিতিতে পরিণত সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়, যাতে সেনার মানবিক দিকটি প্রাধান্য পায়।
শনিবার সারা দিন মহিলা পরিচালিত জনতার সঙ্গে সেনার সংঘর্ষ চলেছে। সেনাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। কিছুতেই তাদের এগোতে দেয়া হচ্ছিল না। তার পরেই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যে গোষ্ঠীর সদস্যদের ছেড়ে দিতে হয়েছে, তারা ২০১৫ সালে ৬ ডোগরা ইউনিটের হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের ধরার চেষ্টা চলছিল।
মণিপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিক্ষোভে মহিলাদের ভূমিকা আলাদা করে নজর কাড়ছে বার বার। এর আগে মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে কখনও আটকা পড়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি, কখনও ফিরে আসতে হয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলকে। সেনার গাড়ির সামনে কয়েকশো মহিলা বসে পড়ে তাদের আটকে দিয়েছেন কিছু দিন আগেই। অস্ত্র লুটের তদন্তে যাওয়া সিবিআইয়ের দলকে একই ভাবে মণিপুর পুলিশ ট্রেনিং কলেজে ঢুকতে দেননি প্রায় দু’হাজার মহিলা। এ বার সেনাকে ঘিরে তাদের হাত থেকে বন্দিদের ছাড়িয়ে আনলেন সেই মহিলারাই। সূত্র: টিওআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি
এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র
স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?
চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১
পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি
যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত
১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান
জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ