ভারত মহাসাগরের তলদেশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি!
০৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪০ এএম | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪০ এএম
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের নিচে একটি বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রের মেঝেতে অনেকটা এলাকাজুড়ে তার বিস্তৃতি। দীর্ঘদিন ধরেই যা রয়েছে বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের কেন্দ্রে।
মহাসাগরের নিচে এ গর্তটিকে বলা হয় ‘গ্র্যাভিটি হোল’ বা ‘মাধ্যাকর্ষণজাত গর্ত’। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টানের কারণেই এ গর্তটি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেকের ধারণা, সমুদ্রের তলদেশ হয়তো নিচের দিকে বসে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রায় ৩০ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে এ গর্তটি। সমুদ্রের সবচেয়ে নিচের স্তরটির চেয়েও এ অঞ্চলটি গভীর।
ভবিষ্যতে এ গর্ত থেকে পৃথিবীর উপরিভাগে কোনো ক্ষতি হতে পারে কি না এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এ গর্তের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।
অবশ্য ভারত মহাসাগরের নিচে বিশাল গর্তটির সম্ভাব্য কারণ আবিষ্কার করেছেন দুই ভারতীয় বিজ্ঞানী। তারা বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গবেষক দেবাঞ্জন পাল ও আত্রেয়ী ঘোষ। ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস্’ নামক জার্নালে দেবাঞ্জন এবং আত্রেয়ীর গবেষণামূলক তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। কেন ভারত মহাসাগরের মাঝে ‘গ্র্যাভিটি হোল’ তৈরি হলো, তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন এ দুই বিজ্ঞানী।
গবেষকদের দাবি, পৃথিবীর আকার একটি নিখুঁত গোলকের মতো বলে মনে করা হলেও আসলে পৃথিবী তেমন নয়। পৃথিবীপৃষ্ঠ কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু এমনকি কোনো অংশ একটু বেশি সমতল।
ভারত মহাসাগরে তৈরি ‘গ্র্যাভিটি হোল’ আক্ষরিক অর্থে তেমন ‘গর্ত’ নয়, যা সমুদ্রের পানি কমিয়ে দেয় বা শুষে নেয়। বরং এটি ভূত্বকের একটি অসঙ্গতিপূর্ণ স্থান, যেখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টান অপেক্ষাকৃত দুর্বল।
গবেষকেরা কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠটিকে বিশ্লেষণ করেছেন। মাধ্যাকর্ষণজাত এ গর্তকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা। ১৪ কোটি বছর ধরে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূপ্রকৃতিগত পরিবর্তন বিবেচনা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এ ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর কারণে পৃথিবীর মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় পাতগুলো বেশ কিছুটা সরে গেছে।
ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে দুর্বল মাধ্যাকর্ষ টানের কারণ হিসেবে ভূত্বকের নিচে পৃথিবীর ম্যান্টেল স্তরের গলিত ম্যাগমাকে দায়ী করা হচ্ছে। যা দুই কোটি বছর আগে পৃথিবীর আকৃতি গড়ে দিয়েছিল।
ভূত্বকের নিচ দিয়ে দুই কোটি বছর ধরে বয়ে চলেছে এ তরল তপ্ত ম্যাগমা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ম্যাগমার স্রোত যদি কখনও থমকে যায়, ভারত মহাসাগরের তলদেশে তৈরি হওয়া গর্তটিও মিলিয়ে যাবে।
এ মহাসাগরের তলদেশে গর্তের উপস্থিতি বাইরে থেকে দেখে তা বোঝা অসম্ভব। তবে এ ‘গ্র্যাভিটি হোল’ নিয়ে আরও গবেষণা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও নতুন তথ্য উঠে আসবে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ