২০ বছর পর প্রথমবার সিঙ্গাপুরে নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৯ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৫ এএম | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

প্রায় দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সিঙ্গাপুর। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি জানায়, গতকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই) চেঙ্গি কারাগারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক সারিদেউই জামানির (৪৫) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৮ সালে ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
একই অপরাধে জামানির সহযোগী মোহাম্মদ আজিজ বিন হুসেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় দুইদিন আগে। বিশ্বে কঠোর মাদকবিরোধী আইন প্রয়োগকারী দেশের অন্যতম সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুরের আইন সুনির্দিষ্ট করে জানায়, ৫০০ গ্রামের বেশি গাঁজা বা ১৫ গ্রাম হেরোইন পাচার করলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরো (সিএনবি) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০১৮ সালের ৬ জুলাই জামানির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে তার দণ্ড কার্যকর হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর নগররাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত জামানির আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়েও ব্যর্থ হন তিনি।
এদিকে সিঙ্গাপুরের মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকে। ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড অপরাধের বিরুদ্ধে কোনো বাধা নয়। টুইট বার্তায় বলেন, ছোট আকারের মাদক পাচারকারীদের সাহায্যের প্রয়োজন। কারণ তাদের বেশিরভাগই পরিস্থিতির শিকার।
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ট্রান্সফরমেটিভ জাস্টিস কালেক্টিভ জানায়, জামানি সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারীর একজন। ২০০৪ সালে ইয়েন মে উয়েন নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছ, মাদকের ব্যবহার ও প্রাপ্যতার ওপর মৃত্যুদণ্ড কোনো প্রভাব ফেলেছে এমন প্রমাণ নেই। এই মৃত্যুদণ্ড এ বার্তা দেয় যে সিঙ্গাপুর সরকার মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে অস্বীকার করতে ইচ্ছুক।
সংস্থাটি আরো জানায়, চীন, ইরান ও সউদী আরবের পাশাপাশি চতুর্থ দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুর সম্প্রতি মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

১০০ বছর পর প্যারিসে পর্দা উঠলো অলিম্পিকের

১০০ বছর পর প্যারিসে পর্দা উঠলো অলিম্পিকের

‘খান ইউনিসে’ ৪ দিনে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২ লাখ

‘খান ইউনিসে’ ৪ দিনে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২ লাখ

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সামনে শ্রীলঙ্কা

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সামনে শ্রীলঙ্কা

ইসরাইলকে বোমা সরবরাহের নীতি পরিবর্তন করেনি যুক্তরাষ্ট্র

ইসরাইলকে বোমা সরবরাহের নীতি পরিবর্তন করেনি যুক্তরাষ্ট্র

১ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ে লোকসান ৬ কোটি

১ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ে লোকসান ৬ কোটি

বিজিবির নিরাপত্তায় ট্রেনে জ্বালানি তেল পরিবহন

বিজিবির নিরাপত্তায় ট্রেনে জ্বালানি তেল পরিবহন

বাংলাদেশে সহিংসতা প্রসঙ্গে মমতা, ‘আমাকে শেখাবেন না, বরং আপনারা শিখুন’

বাংলাদেশে সহিংসতা প্রসঙ্গে মমতা, ‘আমাকে শেখাবেন না, বরং আপনারা শিখুন’

চোটজর্জর বার্সাকে নিয়ে চিন্তিত ফ্লিক

চোটজর্জর বার্সাকে নিয়ে চিন্তিত ফ্লিক

বছরের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগে দারুণ প্রবৃদ্ধি চীনে

বছরের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগে দারুণ প্রবৃদ্ধি চীনে

জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, সরিয়ে নেওয়া হলো হাজারো মানুষকে

জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, সরিয়ে নেওয়া হলো হাজারো মানুষকে

জন্মভূমির বিপক্ষে মুরের ফিফটি, মাডান্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

জন্মভূমির বিপক্ষে মুরের ফিফটি, মাডান্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড