ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

২০ বছর পর প্রথমবার সিঙ্গাপুরে নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৯ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৫ এএম | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

প্রায় দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সিঙ্গাপুর। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি জানায়, গতকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই) চেঙ্গি কারাগারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক সারিদেউই জামানির (৪৫) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৮ সালে ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
একই অপরাধে জামানির সহযোগী মোহাম্মদ আজিজ বিন হুসেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় দুইদিন আগে। বিশ্বে কঠোর মাদকবিরোধী আইন প্রয়োগকারী দেশের অন্যতম সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুরের আইন সুনির্দিষ্ট করে জানায়, ৫০০ গ্রামের বেশি গাঁজা বা ১৫ গ্রাম হেরোইন পাচার করলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরো (সিএনবি) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০১৮ সালের ৬ জুলাই জামানির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে তার দণ্ড কার্যকর হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর নগররাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত জামানির আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়েও ব্যর্থ হন তিনি।
এদিকে সিঙ্গাপুরের মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকে। ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড অপরাধের বিরুদ্ধে কোনো বাধা নয়। টুইট বার্তায় বলেন, ছোট আকারের মাদক পাচারকারীদের সাহায্যের প্রয়োজন। কারণ তাদের বেশিরভাগই পরিস্থিতির শিকার।
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ট্রান্সফরমেটিভ জাস্টিস কালেক্টিভ জানায়, জামানি সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারীর একজন। ২০০৪ সালে ইয়েন মে উয়েন নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছ, মাদকের ব্যবহার ও প্রাপ্যতার ওপর মৃত্যুদণ্ড কোনো প্রভাব ফেলেছে এমন প্রমাণ নেই। এই মৃত্যুদণ্ড এ বার্তা দেয় যে সিঙ্গাপুর সরকার মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে অস্বীকার করতে ইচ্ছুক।
সংস্থাটি আরো জানায়, চীন, ইরান ও সউদী আরবের পাশাপাশি চতুর্থ দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুর সম্প্রতি মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা