ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ভারতে কারাগারে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, পুলিশ-জনতার সংঘর্ষ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম



ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নামে কারাগারের মধ্যে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার লকআপে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গোবিন্দ ঘোষ নামের ওই দিনমজুরের।
এদিকে, এ ঘটনা কেন্দ্র করে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে থানা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গেছে, গোবিন্দ ঘোষের (৩০) বাড়ি নবগ্রাম থানার সিঙ্গার গ্রামে। তিনি নবগ্রামের সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করতেন।
দিন কয়েক আগে গোবিন্দর প্রতিবেশী ও পুলিশ সদস্য প্রদীপ ঘোষের বাড়ি থেকে চুরি যায় সোনার গয়না ও কয়েক হাজার রুপি। সে ঘটনায় প্রদীপ নবগ্রাম থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে তালিকায় নাম ছিল গোবিন্দর নামও।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোবিন্দকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় নবগ্রাম থানা-পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পরও গোবিন্দকে ছাড়া হয়নি। তার পরিবারের লোকজন থানায় দেখা করতে গেলে বলা হয়, এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, শেষ হলেই ছেড়ে দেওয়া হবে।
একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন গোবিন্দের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর জানতে পারে ও এ খবর শুনেই বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে সিঙ্গার গ্রামের লোকজন। গোবিন্দর পরিবারের লোকজন গ্রামাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে থানা ঘেরাও করে। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও পরে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
গোবিন্দর পরিবারের দাবি, প্রদীপ ঘোষের বাড়িতে চুরি যাওয়ার দিন গোবিন্দ সেনা ছাউনিতে কাজ করছিলেন। গোবিন্দ ঘোষের বাবা বলেন, আমার ছেলে ক্যাম্পে কাজ করে। সেদিনও কাজ করতে গিয়েছিল। কিন্তু মারতে মারতে পুলিশ আমার ছেলেকে মেরেই ফেলেছে। আমরা দোষী পুলিশের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুরিন্দর সিং জানান, নবগ্রামে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল, তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ওই যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান